ফাইল ছবি।
অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ডলফিনের সংখ্যা বাড়ছে কালনার ভাগীরথী নদীতে। আগে একটা-আধটা দেখা গেলেও এখন প্রায়শই তিন-চারটে ডলফিনের দেখা মেলে এখানে। যা খুবই সুখকর। পরিবেশের পক্ষেও অত্যন্ত ইতিবাচক। ভাগীরথীতে অনুশীলনের সময় ডলফিনের সঙ্গে সাঁতার কাটার ভিডিও ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ডলফিনকে ‘মানুষের বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন সদ্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাঁতারু সায়নী দাস।
কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা পঞ্চসিন্ধু জয়ী সায়নী দাস ২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যালেল জয়ের অনেক আগে থেকেই কালনার ভাগীরথী নদী দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সায়নী জানান, “আট বছর ধরে কালনার ভাগীরথী নদীতে সাঁতার প্র্যাকটিস করছি। ভোরবেলায় মাঝেমধ্যেই একটা-দুটো ডলফিনের দেখা মিলত। বর্তমানে তা যেন সংখ্যায় বেড়েছে। এখন প্রায়শই তিন-চারটে ডলফিনের দেখা মিলছে। এদের যে এখনও দেখতে পাচ্ছি, এটা ভীষণ ভালো একটা দিক।” তিনি আরও জানান, “সমুদ্রে ঝাঁকঝাঁক ডলফিনের সঙ্গে সাঁতার কাটতে ভীষণ ভালো লাগে। কালনার ভাগীরথী নদীতে ডলফিনের দর্শন খুবই সুখকর। মনে হয় ওরা যেন আমার সঙ্গে খেলছে। ওপেন ওয়াটার সুইমিং-এ দীর্ঘক্ষণ একা-একা সাঁতার কাটার সময় বোরিং অনুভব করলেও ওরা যখন পাশে এসে সাঁতার কাটে তখন যেন ওদের ‘বন্ধু’ বলেই মনে হয়। মেন্টাল সাপোর্টের কাজ করে। তখন মনে হয় আমি একা নই। ওরাও রয়েছে আমার সঙ্গে।”
উল্লেখ্য, ইংলিশ চ্যানেল-সহ পঞ্চসিন্ধু জয়ী সায়নী দাসকে গত ১৭ জানুয়ারী ‘তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তারপরেই গত বৃহস্পতিবার বর্ধমানে জেলা প্রশাসন ও জিলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে তাঁকে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাঁর হাতে একটি রূপোর ট্রফি, এক লক্ষ টাকার একটি চেক-সহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ‘ওশান সেভেন’ জয়ের লক্ষ্যে আগামী এপ্রিল মাসে সায়নীর জিব্রাল্টার প্রণালীতে নামার আগে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.