সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬০ শতাংশ নতুন কোভিড সংক্রমণের জন্য দায়ী ‘সুপার স্প্রেডার’রা। ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে তেমনই দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই গবেষণায় আরও জানানো হয়েছে, ৭০ শতাংশ সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকেই সংক্রমণ ছড়ায় না।
‘সুপার স্প্রেডার’ কারা? জানা যাচ্ছে, মোট সংক্রমিতের এক দশমাংশ রোগীর মধ্যে অন্যদের সংক্রমিত করার ক্ষমতা অনেক বেশি। এঁদের থেকেই বেশি মাত্রায় সংক্রমণ ছড়ায়। এই গবেষণাপত্রের মূল লেখক রামানন লক্ষ্মীনারায়ণ জানিয়েছেন, ‘‘মোট সংক্রমিতের এক দশমাংশ মানুষ ভাইরাসকে অন্যদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারে। কেবল ভারতে নয়, সারা বিশ্বের সংক্রমণের ক্ষেত্রেই বড় ভূমিকা রয়েছে এদের।’’
মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাডু, এই দুই রাজ্যে ৮৫ হাজার করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ব্যক্তির উপরে গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা। ওয়াশিংটনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ ডায়ানমিক্স, ইকনোমিক্স অ্যান্ড পলিসি’-র ডিরেক্টর লক্ষ্মীনারায়ণ আরও জানাচ্ছেন, ভারতে ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সিদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভারতীয়রা জিনগত ভাবেই এই বয়ঃসীমার মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। যা করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি ভারতের দূষণও এক্ষেত্রে একটা ফ্যাক্টর। দূষিত পরিবেশে বসবাস করার জন্য ভারতীয়দের ফুসফুস এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। যা সংক্রমণের ধাক্কা সামলাতে অনেক সময়ই ব্যর্থ হয়।
এর পাশাপাশি একটা উল্টো ছবিও দেখতে পেয়েছেন গবেষকরা। দেখা গিয়েছে ৬৫ বা তার বেশি বয়সি ভারতীয়দের ক্ষেত্রে করোনার মৃত্যুহার অন্য দেশের একই বয়সিদের তুলনায় অনেকটা কম। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভারতীদের গড় আয়ু পশ্চিমি দেশগুলির বাসিন্দাদের থেকে কম। তাই এর মধ্যেও যাঁরা নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করে যান, তাঁরা শারীরিক ভাবে সমর্থ ও সুস্থ। তাই সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা তাঁদের মধ্যে বেশি থাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.