সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদ থেকে সূর্য হয়ে সোজা বঙ্গোপসাগরে। সব ঠিকভাবে এগোলে আগামী বছরের গোড়াতেই শুরু হবে ‘মৎস্য অভিযান’। বঙ্গোপসাগরের ৬ হাজার মিটার গভীরে নিমজ্জিত অবস্থায় ভারতীয় সমুদ্রযান চালাবে নানা ধরনের অন্বেষণ। তালিকায় অন্যতম মূল্যবান ধাতু এবং খনিজের অনুসন্ধান।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি, ‘প্রোজেক্ট সমুদ্রযান’ মিশন-এর অন্তর্গত ‘মৎস্য ৬০০০’ যানে থাকবেন তিন সওয়ারি। ২০২৪ সালের প্রথম দিকে চেন্নাই উপকূলে হবে এর প্রথম ট্রায়াল। আপাতত চলছে যাত্রাশুরুর আগে আপাদমস্তক ‘দেখেশুনে’ নেওয়ার পালা। ডিজাইন থেকে শুরু করে যোগ্যতার শংসাপত্র, কলকবজা থেকে শুরু করে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর–আটলান্টিকের অতলে সাম্প্রতিক টাইটান ধ্বংসের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, ‘মৎস্য ৬০০০’-কে নিখুঁত বানাতে নজরদারিতে কোনও কসুর রাখছেন না ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির (এনআইওটি) বিজ্ঞানীরা। মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্সেস-এর সচিব এম রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন, “‘মৎস্য ৬০০০’ ডিপ ওশান মিশন-এর একটি অংশ। আমরা ২০২৪-এর প্রথম তিন মাসের মধ্যে এর পরীক্ষামূলক অভিযান শুরু করব। প্রথমে সমুদ্রের ৫০০ মিটার গভীরে ট্রায়াল শুরু হবে।’’
প্রসঙ্গত, মৎস্যই হল ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘ম্যানড সাবমার্সিবল’। অর্থাৎ সমুদ্রের গভীরে ভেসে চলা এমন যান, যেখানে মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। বিশ্বে এমন কীর্তি ইতিপূর্বে গড়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স এবং চিন। জানা গিয়েছে, কোবাল্ট, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, হাইড্রোথার্মাল সালফাইড এবং গ্যাস হাইড্রেটসের মতো ধাতু এবং খনিজের অনুসন্ধান করবে মৎস্য। পাশাপাশি নিরীক্ষণ করবে জীববৈচিত্র্যও। বিগত প্রায় দু’বছর ধরে এই যানটিকে তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, যানটির মধ্যে ২.১ মিটার ব্যাসযুক্ত একটি ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে তিনজন মানুষ থাকতে পারবেন। একটানা ১২-১৬ ঘণ্টা কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে মৎস্যের। অক্সিজেন মজুত রয়েছে ৯৬ ঘণ্টার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.