সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কী সংগীত ভেসে আসে’। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সেই বিখ্যাত গানের লাইনকেই নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে ছায়াপথের (Milky Way galaxy) সুদূর কোণে সদ্য আবিষ্কৃত এক রহস্যময় বস্তু। একেবারে ঘড়ি ধরে ১৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ড অন্তর সংকেত পাঠাচ্ছে সে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন এক আবিষ্কার ঘিরে শোরগোল বিজ্ঞানী মহলে!
সম্প্রতি একটি ইংরাজি ছবি সাড়া ফেলেছিল। ‘ডোন্ট লুক আপ’। সেই ছবিতে এক পিএইচডি পড়ুয়া আচমকাই আবিষ্কার করে ফেলেন এমন এক ধূমকেতু যা নাকি বছরখানেকের মধ্যে আছড়ে পড়বে পৃথিবীর বুকে। আশ্চর্যজনক ভাবে এই অদ্ভুত বস্তুটিকে খুঁজে পেয়েছেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। যিনি তাঁর স্নাতক স্তরের একটি থিসিস লেখার সময়ই আকস্মিক ভাবেই ওই বস্তুটিকে আবিষ্কার করেন। ওই আবিষ্কারের পরে স্বাভাবিক ভাবেই সাড়া পড়ে গিয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী নাতাশা হার্লে ওয়াকার জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টায় তিনবার তেজস্ক্রিয় শক্তির বিপুল বিস্ফোরণ প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁরা।
কেন ওই বস্তুকে ‘রহস্যময়’ বলে মনে তাঁদের?এপ্রসঙ্গে নাতাশার বক্তব্য, ”একজন জ্যোতির্বিদ হিসেবে বলতে পারি অভিজ্ঞতাটা কেমন যেন ভূতুড়ে। কেননা ওই বস্তুটির সঙ্গে আমাদের চেনাজানা ধরনের কোনও মহাজাগতিক বস্তুরই কোনও রকম মিল নেই।” বস্তুটি কী, তা জানতে আপাতত গবেষণায় মগ্ন গবেষকরা।
ঠিক কত দূরে রয়েছে মহাকাশের ওই ‘আগন্তুক’? মনে করা হচ্ছে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে সেটি। বস্তুটি অসম্ভব উজ্জ্বল এবং তাকে ঘিরে রয়েছে এক শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র। এই ধরনের কোনও বস্তুর পক্ষে ১৮ মিনিট অন্তর ওই বিপুল পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন করা অসম্ভব বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাই ওই শক্তির রহস্য জানতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে তাঁরা। হয়তো সেই অনুসন্ধানই মহাকাশ গবেষণায় কোনও নতুন দিগন্তের সন্ধান দেবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.