Advertisement
Advertisement

Breaking News

নিরীহ কাঠবিড়ালি কত বড় ‘ক্ষতি’ করতে পারে জানেন?

স্তন্যপায়ীর কাণ্ডে ভ্যাঙ্কুবারে লঙ্কাকাণ্ড।

Squirrel starts fire, spoiling 82,000 litres of milk in Burnaby
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 13, 2017 1:36 pm
  • Updated:October 5, 2019 3:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই কবে আমরা রামায়ণে জেনেছি কাঠবিড়ালির ইতিবাচক ভূমিকার কথা। সেতু বাঁধার সময় কাঠবিড়ালি ছুটে গিয়ে গায়ে বালি মেখে জলে বারবার ডুব দিয়েছিল। সাগরের বালি ফেলে যাতে কাজে কিছুটা সহজতর করা যায় তার চেষ্টা চালিয়েছিল ছোট্ট প্রাণীটি। স্তন্যপায়ী এই প্রাণীর এমন গুণ অবশ্য কলিযুগে দেখা যায় না। কানাডার ভ্যাঙ্কুবারে কাঠবিড়ালির অত্যাচারে কী হয়নি। মনের সুখে কুটকুট করার অভ্যাস হাইভোল্টেজের তারে কামড় বসিয়েছিল একটি কাঠবিড়ালি। ব্যস তাতেই লঙ্কাকাণ্ড। সাব স্টেশন বিকল হয়ে আগুন ধরে যায়। যার জেরে আঁধার নেমে আসে সহস্রাধিক মানুষের জীবনে। লোডশেডিংয়ের জন্য প্রায় ১ লক্ষ লিটার দুধ নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে চিজ কোম্পানির।

[ব্লু হোয়েলের থাবা পশ্চিমবঙ্গেও? আত্মঘাতী মেদিনীপুরের কিশোর]

ভ্যাঙ্কুবারের বার্নেবেতে গত শুক্রবার প্রায় ২০ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। শেষ কবে কানাডার ওই শহরে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছিল মনে করতে পারেছেন না প্রবীণরাও। ইলেকট্রিক চলে যাওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন। এমন একটা জায়গায় কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। কেউ কেউ ভেবেছিলেন অন্তর্ঘাত, কারও সন্দেহ হয়েছিল নাশকতা। কর্মীরা বুঝতে পারেন সাব স্টেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ তার ছিঁড়েছে। এর ফলে শর্ট সার্কিট। যার ধাক্কায় সাব স্টেশনে আগুন লেগে যায়। এত নিরাপদ একটি জায়গায় কে বা কারা এই কম্মটি করবে তা বুঝতে সময় লাগে তাদের। খোঁজ খোঁজ পর্ব শেষ হওয়ার পর অপরাধীর নাম যখন জানাই গেল তখন হেসেই খুন হন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। পুঁচকে একটা কাঠবিড়ালি ছিল যত নষ্টের গোড়া। বিদ্যুতের তার কেটে একাকার করে দেয় সে। ওই সাব স্টেশনের পাশে ছিল একটি চিজ তৈরির কারখানা। প্রায় ২০ ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ায় কারখানায় থাকা প্রায় ১ লক্ষ লিটার দুধ নষ্ট হয়ে যায়। কাঠবিড়ালির কাণ্ডে তাদের এখন মাথায় হাত। তার কেটে যাওয়ায় প্রায় ৩০০টি পরিবার অন্ধকারে ছিল।

Advertisement

[কোন দেশে নিরাপদ মুসলিমরা, প্রশ্ন তুললেন এই আরএসএস নেতা]

কাঠবিড়ালির দৃষ্টিশক্তি প্রখর। ঘ্রাণশক্তিও মন্দ নয়। ছোট্ট স্তন্যপায়ী প্রাণীর এই গুণে অবশ্য  বার্নাবের কয়েকশো মানুষের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। রামায়ণে তার ভূমিকা খানিকটা অকিঞ্চিৎকর মনে হলেও তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়নি। রামচন্দ্র পরম স্নেহে স্বীকৃতি দিয়েছিল কাঠবিড়ালিকে। ভ্যাঙ্কুবারের বাসিন্দা শুক্রবারের রাত ভুলতে চান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement