সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর চার আগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ধূমকেতুর অংশ, যা কি না বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা উসকে দিয়েছিল, তা ‘এলিয়েন’দের (Alien) পাঠানো! নিজের লেখা বইয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাভি লোয়েব। আর তা নিয়েই আপাতত শোরগোল বিজ্ঞানী মহলে। নতুন বছরের শুরুতেই প্রকাশিত হয়েছে লোয়েবের বই – ‘এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল: দ্য ফার্স্ট সাইন অফ ইন্টেলিজেন্ট লাইফ বিয়ন্ড আর্থ’ (Extraterrestrial: The First Sign of Intelligent Life Beyond Earth)। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেছেন, মহাকাশের ওই বর্জ্য (Space Junk) মোটেই প্রাকৃতিক নয়, তা সৌরজগতের বাইরের ‘এলিয়েন’দের পাঠানো।
নাসার দেওয়া নাম ছিল 1I/2017 U1 Oumuamua। হাওয়াইয়ের শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপে এর অস্তিত্ব ধরা পড়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে। বহির্বিশ্বে ধূমকেতুর গতিপথ বোঝার লক্ষ্যে কাজে নেমে টেলিস্কোপটি এই ‘আউমুয়ামুয়া’র হদিশ পায়। বস্তুটি কী, তা বুঝতে বিশদে গবেষণা শুরু করেন নাসার (NASA) বিজ্ঞানীরা। বোঝা যায়, ওটি একটি ধূমকেতুর অংশ। খুব দ্রুত গতিতে সৌরজগতের দিকে ধেয়ে আসছে। গতি দেখে বিজ্ঞানীদের প্রাথমিকভাবে সংশয় তৈরি হয় যে ধূমকেতুর অংশটি সৌরজগতের বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছে গ্রহমণ্ডলীর বৃত্তে। তবে এ সম্পর্কে নতুন ধারণা দিল হার্ভার্ডের অধ্যাপক লোয়েবের বই। প্রকাশকের কথায়, ”এই বস্তুটি অনেক উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি। আর তার নেপথ্যে রয়েছে দূরজগতের এলিয়েনরা। তাদের অস্তিত্ব প্রমাণে এটাই একমাত্র গ্রহণযোগ্য প্রমাণ।”
এর আগে একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন, ভিনগ্রহ থেকে তাঁরা নাকি রেডিও সিগন্যাল পেয়েছেন। তাতেই ‘এলিয়েন’দের অস্তিত্ব আছে বলে প্রমাণের কথাও বলেন তাঁরা। এরপর লোয়েবের বইয়ের দাবি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘আউমুয়ামুয়া’ একটি গোলাকার চাকতি, যার বেধ ১ মিলিমিটারেরও কম। সৌরজগতের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে দ্রুত গতিতে। আর তা থেকেই তাঁর ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে ওটি সৌরজগতের কোনও ধূমকেতু বা গ্রহাণুর পরিত্যক্ত অংশ নয়। এলিয়েনদের পাঠানো উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন কোনও বস্তু।
লোয়েব আরও মনে করেন, বহির্বিশ্বে প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কি না, থাকলেও তারা মানুষের চেয়ে উন্নত মস্তিষ্কসম্পন্ন কি না, তা বোঝা যায় তাদের পাঠানো বর্জ্য পদার্থ থেকেই। আর ‘আউমুয়ামুয়া’ তাদের পাঠানো তেমনই একটি জাঙ্ক বা বর্জ্য। তাই এর উপর গবেষণা ‘এলিয়েন’দের নিয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারবে বলে আত্মবিশ্বাসী হার্ভার্ডের অধ্যাপক। আমজনতার মধ্যেও এনিয়ে উৎসাহ কম নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.