সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত মহাসাগরের (Indian Ocean) উপরে তৈরি হয়েছে শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউট। সৌজন্যে সূর্য (Sun)! আরও ঠিক ভাবে বললে সৌরশিখার (Solar flare) ঝাপট। যার ধাক্কাতেই সৃষ্টি হল মৃদু ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের। ফলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির রেডিও তরঙ্গয় প্রভাব পড়বে। এমনটাই জানাচ্ছে মহাকাশ সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ‘স্পেসওয়েদার.কম’।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA’র ‘সোলার ডায়নামিক্স অবজার্ভেটরি’ সূর্যের শরীরে এক সানস্পট লক্ষ করে। দেখা যায় সেখান থেকে বিপুল সৌরশিখা ঝাপটা মারছে। এর ফলেই ভারত মহাসাগরের উপরে তৈরি হয়েছে শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউট।
কী হবে এর ফলে? বিমান চালক, নাবিক ও হ্যাম রেডিও অপারেটররা ওই অঞ্চলে ৩০ মেগা হার্ৎজের কম তরঙ্গের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক চলন লক্ষ করবেন।
সোলার ফ্লেয়ার বা সৌরশিখা ঠিক কী? যখন বিপুল পরিমাণে এনার্জি চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে আচমকাই মুক্তি পায়, তখন ঘটে বিপুল বিস্ফোরণ। সেই আকস্মিক ও বিরাট বিস্ফোরণের ফলে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয়তার সৃষ্টি হয়। যা সূর্যের শরীর থেকে বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে ব্রহ্মাণ্ডের নানা প্রান্তে।
সাধারণত তিন ধরনের সৌরশিখার সৃষ্টি হতে পারে। মাত্রার তারতম্যের ভিত্তিতে ওই বিভাজন। বৃহস্পতিবারের সৌরশিখার ঝাপট মাঝারি মানের তথা এম ক্লাসের বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণত এই ধরনের বিকিরণের ক্ষেত্রে পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে রেডিও ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয়। এমনকী তেজস্ক্রিয় ঝড়েরও সৃষ্টি হতে পারে। তবে তা মৃদু ধরনেরই হয়।
এই ঘটনার কতটা প্রভাব পড়বে পৃথিবীতে? ‘স্পেসওয়েদার.কম’ জানাচ্ছে, শনি, রবি ও সোমবার এর ফলে ভূ-চৌম্বকীয় অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফেয়ারে বড়সড় অস্থিরতাও দেখা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, সৌরশিখার মতো সৌরঝড়ও অনেক সময়ই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। আসলে সূর্য লাগাতার পৃথিবীর দিকে তড়িচ্চুম্বকীয় কণা ছুঁড়ে মারে। তার ফলে সৌর বাতাস তৈরি হয়। তবে পৃথিবী সেই বাতাসকে তার মেরুদেশে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু একশো বছরের মধ্যে অন্তত একবার বড়সড় সৌরঝড় সৃষ্টি হতে পারে, সেই আশঙ্কাও রয়েছে বিজ্ঞানীদের। যার ফলে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও প্রভাব পড়তে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.