Advertisement
Advertisement
ঝিনুক

প্রাকৃতিকভাবেই জল পরিশোধনে বড় ভূমিকা এই সামুদ্রিক প্রাণীটির, চলছে আরও গবেষণা

খেতে সুস্বাদু এই অমেরুদণ্ডী প্রাণী পরিবেশের বন্ধু, বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা৷

Sea mussels are 'super filter', says latest report of research
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 18, 2019 4:32 pm
  • Updated:August 18, 2019 4:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সি-ফুড খেতে যাঁরা ভালবাসেন, নরমসরম ঝিনুকের মাংস তাঁদের প্রিয় না হয়ে যায় না৷ অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা বলেন, এই ছোট সামুদ্রিক প্রাণীর মাংস নাকি দারুণ সুস্বাদু৷ কিন্তু রসনাতৃপ্তি ছাড়াও পরিবেশ রক্ষায় ঝিনুকের অবদান যে কতটা, তা বোধহয় বেশিরভাগ মানুষেরই অগোচরে৷

[আরও পড়ুন: ঘাতক প্লাস্টিক দূষণ, প্রাণ গেল সামুদ্রিক প্রাণী ডুগং মরিয়মের]

সম্প্রতি প্যারিসের একদল সমুদ্রবিজ্ঞানী ঝিনুকের উপর দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছেন৷ তাঁদের গবেষণালব্ধ ফলাফল বলছে, একদিনে ২৫ লিটার জল শোধন করার ক্ষমতা রাখে এই সামুদ্রিক প্রাণী৷ সমুদ্রবিজ্ঞানী লায়লা মেইজটারজিমের কথায়, ‘ঝিনুককে সুপার ফিলটার বললেও অত্যুক্তি হয় না৷ দূষিত পদার্থের একেবারে প্রাকৃতিক শোধন করার সবচেয়ে বড় পদ্ধতি এই ঝিনুক৷’  

Advertisement

কীভাবে জলশোধন কাজ করে ঝিনুক? জানা গিয়েছে, নিজেদের জীবনযাপনের প্রকৃতিগতভাবেই এই কাজ করে থাকে তারা৷ নিশ্বাসপ্রশ্বাস এবং খাওয়াদাওয়ার মধ্যে দিয়ে যে পরিমাণ জল তারা ব্যবহার করে ফিরিয়ে দেয়, তাতেই লুকিয়ে শোধন প্রক্রিয়ার আসল রহস্য৷ এদের সাহায্যে সমস্ত সামুদ্রিক বর্জ্য খণ্ডবিখণ্ড হয়ে প্রকৃতিতে মিশে যায়৷

বিজ্ঞানী লায়লা মেইজটারজিম ফ্রান্সের একটি সামুদ্রিক সংস্থার সঙ্গে গবেষণায় যুক্ত৷ তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন নদী, হ্রদ বা ছোট জলাশয়ের ঝিনুকের উপর তাঁরা নজর রাখেন৷ নিয়মিত সেখানকার জল পরীক্ষা করে দেখেন, কতটা দূষণমুক্ত হচ্ছে৷ এভাবেই বিখ্যাত টেমস, এলবা এবং সেইন নদীতে ঝিনুকের উপস্থিতি নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে৷ নদীতে মাছ ধরতে ফাঁদ হিসেবে ঝিনুকের ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ সেভাবেই তাঁরা পরীক্ষা করেছেন৷ দেখা গিয়েছে, মাছের খাদ্য হওয়ার পাশাপাশি ঝিনুকের দল ছোট ছোট সামুদ্রিক বর্জ্যও খেয়ে ফেলে৷

[আরও পড়ুন: বৌদ্ধদের অনুষ্ঠানে দীর্ঘ পদযাত্রার পর মৃত্যু বৃদ্ধ হাতির, শ্রীলঙ্কার ঘটনায় শোরগোল]

জলশোধনে ঝিনুকের ভূমিকা এখন পরীক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত৷ এখন গবেষকদের লক্ষ্য একটাই, সমুদ্রের জলে মিশে থাকা বিভিন্ন ক্ষুদ্র বর্জ্য, যা পরিবেশ দূষিত করে তুলছে, বিশেষত প্লাস্টিক, তাও যদি ঝিনুকের উদরস্থ করা যায়, তাহলে সমুদ্রকে সহজেই দূষণমুক্ত করা যাবে৷ এক্ষেত্রে প্রয়োজনে ঝিনুকের উপর কোনও হরমোন প্রয়োগ করা যায় কি না, তাও দেখছেন গবেষকরা৷ ২০১৮এ পরিবেশ দূষণ নিয়ে একটি জার্নালে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম ঝিনুক নাকি ৭০টি ক্ষুদ্র প্লাস্টিকের টুকরো সাফ করার ক্ষমতা রাখে৷ তারই এবার পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ দেখতে চান গবেষকরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement