সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আকাশে মেঘের ঘনঘটা ও ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলক। হঠাৎ হঠাৎই তীব্র আলোর ঝলকানি ও কানফাটানো বজ্রপাতের (Thunderstorm) শব্দ। এমন দৃশ্য ততটা অপরিচিত নয় গ্রীষ্মপ্রধান দেশে। কিন্তু তা বলে সুমেরুতে বজ্রপাত (Arctic lightning)! তাও পরপর তিনটি! এমন বিরল দৃশ্য দেখে বিস্মিত আবহাওয়াবিদরা। তবে তাঁদের মতে ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’-ই (Global Warming) এর জন্য দায়ী। আর যেহেতু পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে, তাই এই ঘটনা আর বিরল থাকবে না।
শনিবার দেখা গিয়েছে, সাইবেরিয়া থেকে উত্তরের আলাস্কা পর্যন্ত কীভাবে আলোর ঝলকানি ছড়িয়ে বিদ্যুৎ খেলে গিয়েছে। সুমেরুর আকাশে এমন দৃশ্য দেখে তাই ইডি প্লাম্ব নামের এক আবহাওয়াবিদ জানাচ্ছেন, ‘‘আবহাওয়াবিদরা এমনটা কখনও দেখেননি।’’
আসলে মেরু অঞ্চলে, বিশেষত যখন বরফে চারপাশ পুরোপুরি ঢাকা থাকে তখন বিদ্যুৎ সৃষ্টি করার মতো তাপ তৈরি করাই কঠিন। তাই এই অঞ্চলে আকাশে এমন দৃশ্য দেখা যায় না বললেই চলে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে। যেভাবে বিশ্ব ঊষ্ণায়নের কবলে পড়ে মেরু অঞ্চলেরও তাপমাত্রা বাড়ছে সেই কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে ২০১০ সালের সঙ্গে তুলনা করে দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, গত এক দশকে এই এলাকায় বজ্রপাত, বিদ্যুতের ঝলকের পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। তাই যা এককালে ছিল অতি বিরল, তা এখন কেবল বিরলে পরিণত হয়েছে। এরপর তা নিয়মিত ঘটনাতে পরিণত হওয়া যে কেবল সময়ের অপেক্ষা তেমনটাই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আর এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে মেরু সংলগ্ন অঞ্চলেও। সম্প্রতি সাইবেরিয়ার পার্শ্বর্বতী অঞ্চলের জঙ্গলে দাবানলের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গত সপ্তাহেই প্রায় ২০ লক্ষ একর জমিতে আগুন লেগে গিয়েছিল। শেষে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জুন মাসে আলাস্কাতেও একই ভাবে বাজ পড়ে আগুন লেগে গিয়েছিল তুন্দ্রা অঞ্চলের ১৮ হাজার একরেরও বেশি বিস্তৃত জমিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.