ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বে এখনও জীবন্ত আগ্নেয়গিরির (Volcano) সংখ্যা অন্তত ৩০০। আর এগুলোর উপর সবসময় নজরদারি করা কখনই সম্ভব নয়। সেগুলো জেগে ওঠার আগের মুহূর্তে জেনে যাওয়া কিংবা অগ্ন্যুৎপাতের পর নির্গত গ্যাস কতটা ক্ষতিকর বা কতটা জায়গায় তার প্রভাব পড়বে, তাও জানা সম্ভব নয়। তবে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এবার থেকে আগ্নেয়গিরির জেগে ওঠার আগেই জানতে পেরে যাবেন বিজ্ঞানীরা (Scientist)। এজন্য তাঁরা তৈরি করেছেন বিশেষ এক ড্রোন (Drone)। ইতিমধ্যে পরীক্ষানিরীক্ষাও সফল হয়েছে।
হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও বর্তমানে জীবন্ত আগ্নেয়গিরিগুলোর উপর গবেষণা করতে এমনই এক বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করছেন বিজ্ঞানারী। এই ড্রোনগুলোই অগ্ন্যুৎপাতের আগে সেই সম্পর্কে জানান দেবে। ফলে আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করা যাবে। পাশাপাশি কতটা ক্ষতি হতে পারে পরিবেশের, সেই সম্পর্কেও আগাম খবর দেবে।
সম্প্রতি পাপুয়া নিউ গিনির (Papua New Guinea) উপকূল এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে একটি দ্বীপে অবস্থিত মানাম মোটু আগ্নেয়গিরিতে এরকমই একটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও আগ্নেয়গিরি থাকলেও ওই দ্বীপে বসবাস করেন অন্তত ৯ হাজার মানুষ। আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার আগেই তাঁদের সাবধান করার ক্ষমতা ছিল ওই ড্রোনটির। জানা গিয়েছে, এগুলো শুধু আগাম অগ্ন্যুৎপাতের কথা জানান দেবে তা নয়, আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প হচ্ছে কি না তাও জানিয়ে দেবে। সেভাবেই ড্রোনগুলোকে তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস এবং ২০১৯ সালের মে মাসে দু’টি পৃথক ড্রোনের সাহায্যে ওই আগ্নেয়গিরিটির পরীক্ষাও করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। ড্রোনে ব্যবহার করা হয়েছিল ক্যামেরা, গ্যাস সেন্সর-সহ আরও অনেক প্রযুক্তি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.