Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sanjib Banerjee

মিলল গবেষণায় স্বীকৃতি, কালনা মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রই এখন বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী

এই ধরনের সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের বলেই জানান বাঙালি বিজ্ঞানী।

Sanjib Banerjee selected as best scientist in the world ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 11, 2020 3:09 pm
  • Updated:December 11, 2020 3:09 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন কালনার (Kalna) বিজ্ঞানী। সম্প্রতি আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফে সারা বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সঞ্জীব গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

কালনা শহর সংলগ্ন বাঘনাপাড়া গ্রামে বাড়ি সঞ্জীববাবুর। বাঘনাপাড়া হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পড়াশোনা করেছিলেন কালনা মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ে। ১৯৯৯ সালে এই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। জয়েন্ট এন্ট্রান্স দিয়ে ওই বছরই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। তিনি শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। যাদবপুর থেকে স্নাতকোত্তর করেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। তারপর খড়গপুর আইআইটি থেকে পিএইচডি করেন। বর্তমানে গুয়াহাটি আইআইটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত সঞ্জীব গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই থাকেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভিনগ্রহের প্রাণীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ট্রাম্পের! অদ্ভুত দাবি ইজরায়েলের গবেষকের]

তারই মাঝে চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষণা। তার মধ্যে রয়েছে পাওয়ার সিস্টেম, সফট কম্পিউটিং এবং রিনিউয়েবল এনার্জি বা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি। আর সেই গবেষণাই তাঁকে দিল স্বীকৃতি। কালনা মহারাজা হাইস্কুল প্রাঙ্গনে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কৃতী বিজ্ঞানীকে কাছে পেয়ে অভিভূত স্কুল কর্তৃপক্ষ। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সঞ্জীববাবুও। তাঁর ছাত্র জীবনের অনেক কথাই শোনান। কৃতী বিজ্ঞানী জানান, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি সারা বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। যেখানে সারা পৃথিবীর প্রায় ১ লক্ষ ৫৮ হাজার জন বিজ্ঞানীর নাম রয়েছে। ভারত থেকে ১৪৯৪ জন বিজ্ঞানীর নাম রয়েছে সেই তালিকায়। তার মধ্যে তিনিও রয়েছেন।

তিনি বলেন, “কোনওদিনই জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পুরস্কারের জন্য কোথাও আবেদন করিনি। আর স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি নিজে থেকেই সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকা তৈরি করেছে।” তাঁর কথায়, এই ধরনের সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। তিনি আইআইটি গুয়াহাটি থেকে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই প্রথম এই খবরটি পেয়েছিলেন। বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের প্রতি তাঁর বার্তা, “নিজেকে নিজেই গড়ে তুলতে হবে। অনেকেই সাহায্য করবে। কিন্তু ভাল কিছু হতে গেলে নিজেকে নিজের প্রচেষ্টাতেই তা হতে হবে। আর কখনও হাল ছাড়লে চলবে না।”

[আরও পড়ুন: আগের তুলনায় উচ্চতা বেড়েছে মাউন্ট এভারেস্টের, ঘোষণা করল নেপাল ও চিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement