সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করুন। সোমবার গান্ধী সংকল্প যাত্রার দ্বিতীয় দিনে প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবার ও ফলতায় ঘুরে এমনই আবেদন জানালেন এলাকাবাসীর কাছে। মহাত্মা গান্ধীর স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে অবিলম্বে প্লাস্টিক বর্জন অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন বিজেপির এই সাংসদ।
সোমবার সংকল্প যাত্রায় অংশ নিয়ে বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রথমে ফলতার ফতেপুর কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে যাত্রার সূচনা করেন। তিনি বলেন, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের রক্তচক্ষু যেভাবে গোটা পৃথিবীকে গিলে খেতে চলেছে, তা আটকাতে এখন থেকেই সাধারণ মানুষকে সতর্ক হতে হবে। তাই অবিলম্বে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত। সাধারণ মানুষকে প্লাস্টিকের ব্যবহার বর্জন করতে হবে। তা না হলে সামনেই সমূহ বিপদ।’ প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাগজের থালা, কলাপাতা, চটের ব্যাগ ও মাটির গ্লাস ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রূপা দেবী। তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধীর স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এখন থেকেই সকলকে এই লক্ষ্যে এগোতে হবে যাতে পরিবেশে স্বচ্ছতা আসে।
এদিন রাজ্যসভার এই সাংসদ কখনও সাধারণ মানুষের সঙ্গে পায়ে হেঁটে, কখনও আবার বিজেপি কর্মীর মোটরবাইকে চেপে এলাকায় এলাকায় প্রচার সারেন। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি নেত্রী কোথাও কোথাও সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়েও তাঁদের কাছে প্লাস্টিক বর্জনের আবেদন জানান।
এদিন সংকল্প যাত্রায় রূপার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সম্পাদক রীতেশ তিওয়ারিও। এছাড়াও ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পশ্চিম ভাগের সভাপতি অভিজিৎ দাস, জেলা বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটু-সহ বহু বিজেপি কর্মী ও সমর্থক। সকালে ফতেপুর থেকে শুরু হয়ে এই সংকল্প যাত্রা দোস্তিপুর ও মশাট বাজার, উস্তি বাজার হয়ে পদ্মপুকুর ও বলরামপুর বাজার পর্যন্ত ও দুপুরে শেরপুর বাজার হয়ে শিরাকোলে এসে শেষ হয়।
এদিকে, এদিন সংকল্প যাত্রায় অংশ নেওয়ায় বিজেপির ফলতা মন্ডলের আহ্বায়কের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস হামলা চালায় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সুফল ঘাঁটুর অভিযোগ, এদিন নেত্রী রূপা গাঙ্গুলির সঙ্গে সংকল্প যাত্রায় অংশ নেওয়ায় ফলতা ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদেগহরা গ্রামে স্থানীয় মন্ডলের কনভেনার রুহুল আমিন মণ্ডলের বাড়ি ও গাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সমস্ত ঘটনার কথা জানিয়ে ফলতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনায় তৃণমূলের জড়িত থাকার কথা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এই ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এই ঘটনা বিজেপির দলীয় কোন্দলেরই ফল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.