সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধানে কতই না চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলের (Mars) দিকেই নজর বিজ্ঞানী মহলের। সেখানে কি জল আছে? এই প্রশ্ন চিরদিনের। আর মঙ্গল নিয়ে সাম্প্রতিক সব গবেষণায় যেন ইতিবাচকতার দিকেই এগিয়ে দিচ্ছে। আগের একাধিক নমুনা পরীক্ষায় লালগ্রহে জলের অস্তিত্ব নিয়ে কমবেশি প্রমাণ মিলছিল। এবার হাতে আসতে চলেছে আরও বড়সড় প্রমাণ। নাসার মঙ্গলযান পারসিভিয়ারেন্স (Perseverance) মঙ্গল থেকে বেশ কয়েকটি পাথর সংগ্রহ করে পাঠিয়েছে। সেই পাথর আগ্নেয়শিলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি সত্যিই তাই হয়, সেক্ষেত্রে জল আছেই মঙ্গলে, তার আরও শক্তপোক্ত প্রমাণ মিলবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
গত সপ্তাহে নাসার (NASA) পারসিভিয়ারেন্স পাঠিয়েছিল দুটি পাথরের নমুনা। একটির নাম – ‘Montdenier’, আরেকটি ‘Montagnac’। একটি পেন্সিলের ব্যাসের চেয়ে সামান্য বড় এবং ৬ ফুট লম্বা পাথরগুলি। পারসিভিয়ারেন্সের নিজস্ব গহ্বরে সেসব সঞ্চিত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেসব নমুনা হাতে নিয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই সবই আগ্নেয়শিলা (Volcanic rock)। নাসার মঙ্গল অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী কেন ফারলে জানাচ্ছেন, “আমাদের পৃথিবীর প্রথমদিককার পাথর যেমন ছিল, এই পাথরের আকারও তেমনই। তাই আমরা মনে করছি, কোনও বাসযোগ্য স্থানের পাথর এটা। তেমনটা হলে, মঙ্গলের ওই অংশ বাসযোগ্য বলে প্রমাণিত হবে।”
কিন্তু এই আগ্নেয়শিলার সঙ্গে জলের অস্তিত্বের কী সম্পর্ক? বলা হচ্ছে, আগ্নেয়শিলা অর্থাৎ অগ্ন্যুৎপাতের অংশ থেকে জাত পাথরের মধ্যে থাকে খনিজ পদার্থ, জলীয় অংশ। কারণ, ভূগর্ভের অভ্যন্তরস্থ লাভা উদগীরণের পর তা ধীরে ধীরে জমে এই পাথর তৈরি হয়। যদি মঙ্গল থেকে পাওয়া পাথরের নমুনা পরীক্ষা করে এই একই বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে মঙ্গলেও পৃথিবীর মতো অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল এবং পরবর্তী সময়ে রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার জেরে ওই পাথর তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আরও মনে করছেন, মঙ্গলের গর্ভে দীর্ঘদিন ধরে জলীয় স্তর ছিল। তবে মঙ্গল সংক্রান্ত সমস্ত গবেষণা শেষ হতে হতে আরও ৮, ৯ বছর সময় লাগবে। ২০৩০ সালে এসে সবরকম বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব বলে জানাচ্ছে নাসা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.