সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিকায় এক গ্রহাণু যার পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সেই গ্রহাণুটি এবার দিক বদলে চাঁদের দিকে এগোচ্ছে। তবে শেষপর্যন্ত সত্যিই সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়বার সম্ভাবনা প্রায় ৪ শতাংশ। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেখা গিয়েছিল পৃথিবীর সঙ্গে একটি শহরকে চূর্ণ করে দেওয়ার ক্ষমতাধারী ওই গ্রহাণুর সংঘর্ষের আশঙ্কা সর্বোচ্চ ৩.১ শতাংশ। ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর সেটির পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বলে দাবি করেছিল নাসা। কিন্তু পরে বিজ্ঞানীরা জানিয়ে দেন, সেই সম্ভাবনা নেই। গ্রহাণুটির পরিবর্তিত অভিমুখ থেকে তেমনটাই বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু তখন থেকেই দেখা গিয়েছিল গ্রহাণুটি চাঁদে আছড়ে পড়তে পারে। গতমাসে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ হিসেব করে জানিয়েছিল চাঁদের মাটিতে ওই গ্রহাণু আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ৩.৮ শতাংশ। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের বুকে গ্রহাণুর আছড়ে না পড়ার সম্ভাবনা ৯৬.২ শতাংশ।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল গ্রহাণুটির ব্যাস ৪০ থেকে ৯০ মিটার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তা ৫৩ থেকে ৬৭ মিটারের মধ্যে। অর্থাৎ একটি ১৬ তলা বাড়ির আকারের সমান। এত বড় আকারের কোনও গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা যদি এক শতাংশও থাকত সেক্ষেত্রে এখনই তার মোকাবিলার করার পরিকল্পনা করা হত। কিন্তু পৃথিবীর নিকটতম মহাজাগতিক বস্তুর গায়ে গ্রহাণু আছড়ে পড়লে কি কোনও বিপদের আশঙ্কা আছে?
তেমন কিছু অবশ্য মনে করা হচ্ছে না। তবে চাঁদের মাটিতে সেটি আছড়ে পড়লে ৪০০ মিটারের মতো ব্যাসের বড় গর্ত তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে কোনও গ্রহাণু আছড়ে পড়লে কী ধরনের প্রভাব পড়ে সেটা একেবারে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন বিজ্ঞানীরা। প্রস্তুত হতে পারবেন পৃথিবীর ক্ষেত্রে গ্রহাণুর আঘাতজনিত কোনও আশু বিপদের মোকাবিলার জন্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.