Advertisement
Advertisement

পৃথিবী ও ‘থিয়া’র সংঘর্ষে কয়েক ঘণ্টায় জন্ম হয়েছিল চাঁদের, চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষকদের

মঙ্গল গ্রহের আকারের মহাজাগতিক বস্তু থিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর।

Researchers Says, Moon was created within hours, not centuries | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 10, 2022 7:13 pm
  • Updated:October 10, 2022 7:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে মানুষ পা দিয়েছে বটে, কিন্তু এখনও স্বপ্ন ও বাস্তবের মাঝমাঝি অবস্থান করে আশ্চর্য উপগ্রহটি। শুধু কাব্য আর গল্পগাঁথায় নয়, তাকে নিয়ে বাস্তবেই রয়েছে হাজারও রহস্য। তেমনই এক রহস্য চাঁদের জন্ম সংক্রান্ত। এবার চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব (Creation of Moon) নিয়ে গবেষণায় দাবি করা হল, পৃথিবীর এই উপগ্রহটি তৈরি হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী সময় লাগেনি। বরং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল চাঁদের। প্রায় তৎক্ষণাৎ ঘুরতে শুরু করে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে। 

সাধারণ ধারণা হল চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। পৃথিবীতে বড়সড় কোনও আলোড়নের ফলে পৃথিবীরই উপাদান ছিটকে বেরিয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়ে বলে মনে করা হয়। তবে পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের গঠনের আশ্চর্য মিল নিয়ে ধন্দ রয়েছে বিজ্ঞানীদের। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি গবেষকরা। এর মধ্যেই ব্রিটেনের (UK) ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির (Durham University) অধীন ইনস্টিটিউট ফর কম্পিউটেশনাল কসমোলজির (Computational Cosmology) এক দল গবেষক জানিয়েছেন, চাঁদ সৃষ্টি হতে সময় লেগেছিল কয়েক ঘণ্টা মাত্র। মঙ্গল গ্রহের আকারের থিয়া নামের এক মহাজাগতিক বস্তুর আঘাতে চাঁদের সৃষ্ট হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নগদ-জমা-গাড়ি-গয়না মিলিয়ে কত কোটির সম্পত্তি রেখে গেলেন মুলায়ম? উত্তরসূরিই বা কারা?]

ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ (The Astrophysical Journal Letters)। কৃত্রিম ভাবে মডেলের ব্যবহারে থিয়া ও পৃথিবীর সংঘর্ষের পুনর্নিমাণ করেও দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের দাবি, তীব্র সংঘর্ষে থিয়া ও পৃথিবী থেকে কিছুটা করে অংশ ছিটকে বেরিয়ে এসেছিল। সেই অংশ বা পদার্থই প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে শুরু করে।

[আরও পড়ুন: মাছ-মাংস নয়, খেত প্রসাদী গুড়-ভাত, মৃত্যু হল কেরলের মন্দিরের ‘সাত্ত্বিক’ কুমিরের]

বর্তমান গবেষণার নেতৃত্বে থাকা জ্যাকব কেগেরেস নাসাকে (NASA) এই বিষয়ে বলেছেন, “এটি চাঁদের সৃষ্টতত্ত্ব নিয়ে গবেষণায় একটি সম্পূর্ণ নতুন পরিসর খুলে দিয়েছে।” ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির গবেষণা চাঁদ ও পৃথিবীর সৃষ্টি ও মানুষের পৃথিবীতে আবির্ভাব সংক্রান্ত রহস্যে আলো দেখাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement