সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেকড়ে মানুষ! মনে পড়ছে হলিউড ছবি X-Menএর কথা? ঠিক ধরেছেন, গোটা শরীর বড় লোমে ঢাকা, মুখাবয়ব পর্যন্ত বোঝার উপায় নেই। দূর থেকে দেখলে বড় জোড় একটা বড়সড় ভাল্লুক বলে মনে হতে পারে। প্রকৃতিতে অত্যন্ত হিংস্র।
তো এহেন নেকড়ে মানুষ বা Wolverine কে রুপোলি পর্দার বাইরে সরাসরি চর্মচক্ষে দেখা! নিঃসন্দেহে অতি বিরল ঘটনা। অথচ আমেরিকার ওয়াশিংটনের লং বিচে দেখা গেল একেবারে প্রকাশ্যে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি করলেন চিত্রগ্রাহক জেনিফার হেনরি। তাঁর দৌলতে গোটা বিশ্ব দেখল সেই বিরল বন্যপ্রাণীটিকে। ওই ছবি দেখে বেমালুম চমকে গিয়েছেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরাও। এখনও এদের অস্তিত্ব আছে? এই ভেবে তাঁদের বিস্ময় কাটছে না।
লং বিচ এলাকা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর আটচল্লিশের জেনিফার। আচমকাই তাঁর চোখে পড়ে, X-Menএ দেখা সেই লোমশ প্রাণীর মতো কিছু একটা। সাইকেল থেকে নেমে ভালভাবে দেখতে গিয়ে দেখেন, ঠিক, যা ধরেছেন, তাইই। রুপোলি পর্দায় দেখা সেই প্রাণীটি ঘুরে বেড়াচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটা ছবি তুলে নেন জেনিফার। স্বামীকে দেখান ছবিগুলো। তিনিই প্রাণীটিকে চিহ্নিত করেন Wolverine বা নেকড়ে মানুষ হিসেবে।
কিন্তু সাধারণত এই জাতীয় প্রাণীর তো এসব জায়গায় থাকার কথা নয়। বইয়ে পড়া জ্ঞান অনুযায়ী জেনিফারের মতো আমরা সবাই জানি, বাস্তবে এদের অস্তিত্ব থাকলেও সুউচ্চ, হিমশীতল পাহাড়ের গুহায় বসবাস। সন্দেহ হওয়ায় তিনি সরাসরি বন আধিকারিকদের দ্বারস্থ হন। সত্যিই যে তিনি অত বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী Wolverine বা নেকড়ে মানুষকে স্বচক্ষে দেখেছেন, তার প্রমাণ দিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে চিত্রগ্রাহক জেনিফারকে। প্রথমে কেউ বিশ্বাসই করতে চায়নি যে তিনি নেকড়ে মানুষই দেখেছেন। পরে ছবিগুলো দেখিয়ে তবে বিশ্বাস অর্জন করতে হয়।
ওয়াশিংটনের মৎস্য এবং বন্যপ্রাণ বিভাগের সংরক্ষক জেফ লুইস তাঁকে জানান যে, Wolverine-এর বাসস্থান এই এলাকা থেকে অনেক অনেক দূরে। হয়ত পথভ্রষ্ট হয়ে সেটি লং বিচের কাছে চলে এসেছে। তবে তাও কম বিস্ময়ের নয়। বিশেষজ্ঞরাই অনেকে বলছেন, সিনেমায় দেখা ওই প্রাণীটির অস্তিত্ব যে আশেপাশেই রয়েছে, তা এসব ছবি না দেখলে তাঁদের বিশ্বাসই হতো না। আপাতত জেনিফারের তোলা ছবি প্রশংসা কুড়োচ্ছে নেটদুনিয়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.