সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকুই বা আর জানা যায়! যতটুকু জ্ঞাত, দৃষ্টিগোচর তার বাইরে আরও ঢের বিষয় রয়েছে, যা আড়ালে থাকে, অজ্ঞাত থাকে। আর সেসবের প্রতি মানুষের কৌতূহলের শেষ থাকে না। এবার তেমনই এক কৌতূহলের বিষয় এল প্রকাশ্যে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অথচ একেবারে বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়কে ক্যামেরাবন্দি করা হল। সেসব বিরল ছবি প্রকাশ্যে আনল ‘সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল’ নামে এক সংস্থা। তাতে দেখা গিয়েছে, আমাজন বনাঞ্চলে (Amazon Forest) নিজেদের ভূমি থেকে বেরিয়ে এসে ব্রাজিল লাগোয়া এক নদীর ধারে স্নান করছেন মাচো পিরো (Mashco Piro) সম্প্রদায়ের একদল মানুষ। যা দেখে বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না কারও!
আমাজন জঙ্গল এলাকার একটি অংশ রয়েছে পেরুতে (Peru)। আর সেখানেই বসবাস মাচো পিরো সম্প্রদায়ের। তারাই বিশ্বের সর্বাধিক বিচ্ছিন্ন জনজাতি (Largest isolated tribe) জুনের শেষ দিকে পেরুর মাদ্রে দি দিওস নদীর ধারে তাঁদের দেখে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় এক মানবাধিকার সংগঠন। তাদের অনুমান, সম্ভবত খাবার খুঁজতে নিজেদের এলাকা ছেড়ে বেরিয়েছিল ওই মানুষজন। আবার এও হতে পারে যে আরও নিরাপদ স্থানের খোঁজ চালাচ্ছে মাচো পিরোরা। ‘সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনাল’ সংস্থার ডিরেক্টর ক্যারোলাইন পিয়ার্স জানাচ্ছেন, ওই ছবি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে, এই সম্প্রদায়ের একদল আরও বেশি দূরে বসবাস করে।
যে ছবিটি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, তারা সম্প্রতি ইয়াইন সম্প্রদায়ের মানুষজনের গ্রামে ঢুকেছেন। যদিও নিজেদের বাইরে কোনও মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করে না মাচো পিরো সম্প্রদায়ের মানুষ। সম্ভবত তারা কাঠ বা অন্য কিছু সংগ্রহ করতে গ্রামে ঢুকেছিল। আবার এই গতিবিধি দেখে এধরনের আদিম জনজাতি নিয়ে গবেষণা করা বিশেষজ্ঞদের আরেকাংশের অনুমান, মাদ্রে দি দিওস নদীতে এই সময় কচ্ছপ পাওয়া যায়। সেই কচ্ছপের (Turtle) ডিম সংগ্রহ করতেই নদীর ধারে তাদের আগমন। বলা হচ্ছে, নদীর ধারে বালিতে কচ্ছপের খোলসের চিহ্ন পেয়েই এই অনুমান জোরদার হয়েছে। তবে এবারই প্রথম মাচো পিরো সম্প্রদায়ের ছবি প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি অত্যন্ত বিরল (Rare) বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ছবিগুলি নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.