সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ ভারতের নিজস্ব অরবিটারই প্রথম চিহ্নিত করেছে। সে কথা আগেই নিজেদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা করে দিয়েছে ইসরো। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের টুকরো প্রথম খুঁজে পাওয়ার কৃতিত্ব দাবি করার পরে বুধবার সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানালেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধান কে শিবন।
চন্দ্রপৃষ্ঠের যে জায়গায় বিক্রমের অবতরণের কথা ছিল সেই স্থানের কিছু ছবি বিশ্লেষণ করে মঙ্গলবার নাসা জানায়, বিক্রম চাঁদে আছড়ে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যে সব স্থানে পড়েছে তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। শনাক্তকরণে এই কাজের জন্য চেন্নাইয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার শানমুগা সুব্রহ্মণ্যমের কৃতিত্বের কথাও টুইটারে জানায় নাসা। এরপরই এদিন নাসার দাবি উড়িয়ে চন্দ্রযান ২-এর অন্যতম কাণ্ডারী কে শিবন বলেন, “নাসার আগেই আমাদের নিজস্ব অরবিটারই ল্যান্ডার বিক্রমের টুকরো খুঁজে পায়। আমরা সে কথা ইসরোর ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেছি। চাইলে যে কেউ ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন।”
এখন মহাকাশ গবেষক ও চন্দ্রযান নিয়ে উৎসাহীদের মনে একটাই প্রশ্ন জাগছে, চাঁদের ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ প্রথম চিহ্নিত করার কৃতিত্ব কার? নাসা না কি ইসরোর? যদিও শিবনের এদিনের দাবির পর নাসা মুখ খোলেনি। চেন্নাইয়ের ৩৩ বছরের ইঞ্জিনিয়ার শানও রয়েছেন নিশ্চুপ। গতকালই শান মিডিয়াকে বলেন, নাসার দেওয়া কিছু ছবি বিশ্লেষণ করে তিনি প্রমাণ করেন, বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ ঢাকা পড়ে গিয়েছে চাঁদের মাটি আর ধুলোয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল ইসরোর পাঠানো বিক্রমের। কিন্তু চারশো মিটার ব্যবধান থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। তার পর থেকে লাগাতার প্রচেষ্টা চালাতে থাকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। খোঁজ করতে থাকে নাসাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.