সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেচের কাজে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি চলছিল। কিন্তু ভূগর্ভে যে এমন সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে, তা কে-ই বা জানত! তামিলনাডুর (Tamil Nadu) ত্রিচিতে ভেঙ্কাট্টান কুলাম এলাকায় মাটি খুঁড়ে যা পাওয়া গেল, তা দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা। ধুলোমাখা সাদা গোলাকার, পাথুরে বিশাল বস্তুটিকে প্রাথমিকভাবে ডায়নোসরের ডিম (Dinosaur Egg) বলে মনে করলেও পরে সেই ভুল ভাঙে সকলের। পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানা যায়, ডায়নোসরের ডিম নয়। ওই সাদা ডিম্বাকৃতির বস্তুগুলি প্রাগৈতিহাসিক যুগের খোলসধারী জীব, যা প্রাণীবিজ্ঞানে অ্যামোনাইট (Ammonite) বলে পরিচিত। দেশের মাটিতে এই প্রাণীর ফসিল উদ্ধারের ঘটনায় প্রাণীবিজ্ঞানীদের মধ্যে তুঙ্গে উৎসাহ।
পেরাম্বুলুম জেলার কুন্নামের ভেঙ্কাট্টান কুলাম এলাকায় একটি ট্যাংকের ধারেপাশে খননকাজ চলছিল। আচমকা মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয় পাথুরে, ধুলোমাখা হালকা হলদেটে বিশালাকার গোলাকার বস্তু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মাটি থেকে প্রায় ২০ ফুট উঁচু ওই বস্তুগুলি। ত্রিচির সরকারি মিউজিয়ামের কিউরেটর সি শিবকুমার সেসব পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, ”এসব বস্তুগুলি আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, ডায়নোসরের ডিম নয়। ওগুলো শতবর্ষ প্রাচীন এক সামুদ্রিক জীবের ফসিল। যার উপর দীর্ঘ সময় ধরে পলিস্তর পড়ে পড়ে এই আকার নিয়েছে। এর উপরের গোলাকৃতি দেখেই তা বোঝা যায়।”
একই মত চেন্নাইয়ের (Chennai) ফসিল সাইট মিউজিয়ামের অধিকর্তা উমা শংকরের। আপাতত চেন্নাইয়ের এই মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে ওই বস্তুগুলি। সেসব নিয়ে আরও বিশদে গবেষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই খোলসধারী জীবের এই ফসিলে অন্তত তিনটি স্তর রয়েছে। তার জন্যই অত বড় আকার। এবার স্তরে স্তরে পরীক্ষা চালানো হবে। খননকাজে উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলিকে ডাইনোসরের ডিম ভেবে যাঁরা উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন, ভেবেছিলেন, তামিলভূমেও বিচরণ করে বেড়াত অতিকায় প্রাণী ঘুরে বেড়াত, তাঁরা কিছুটা হতাশ। তবে প্রাণীবিজ্ঞানীরা নতুন এক জীবাশ্ম (Fossil) আবিষ্কার করে উচ্ছ্বসিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.