সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাঘ্র প্রকল্প। বড়সড় এলাকাজুড়ে শুধুই বাঘেদের বাসস্থান। পশ্চিমবঙ্গ কেন, গোটা ভারতের গর্ব বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প (Buxa Tiger Reserve)। প্রকৃতিকে ভালবেসে প্রকৃতির আরেক সদস্যের জন্য খুলে দেওয়া প্রকৃতির দ্বার। চেষ্টার ত্রুটি ছিল না কিছু। সাফল্যও মিলেছে বটে। ডোরাকাটা বনের রাজাকে দেখতে কত পর্যটকই না ঘুরে গিয়েছেন বক্সায়। কিন্তু এখন সব ফাঁকা। বক্সায় একটি বাঘও আর নেই। আজ, বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে রীতিমতো হতাশাজনক একটি রিপোর্ট দিল পরিবেশ মন্ত্রক। বাঘশূন্য দেশের আরেকটি অভয়ারণ্য। মিজোরামের ডাম্পা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের রিপোর্টে সবচেয়ে আশা দেখিয়েছে উত্তরাখণ্ডের জিম করবেট অভয়ারণ্য। দেশের এই বনাঞ্চলেই আপাতত বাঘের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
২২ জানুয়ারি, ২০১৯। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে বাঘের অস্তিত্ব যে মুছে যাচ্ছে, সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’-এ। এই অবস্থায় বক্সা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করেছিল, বাইরে থেকে বাঘ এনে এই অভয়ারণ্যে রাখা হবে। যাদের জন্মভূমিই এই বক্সা, সেখানে বাইরে থেকে এনে সদস্যদের রাখার মতো ঘটনা লজ্জাজনক বইকি! বাংলার এই পরিস্থিতি তখন থেকেই মনখারাপ করে দিয়েছিল প্রকৃতিপ্রেমীদের। মঙ্গলবারের কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বুঝিয়ে দিল, আর আশা করার মতো কিছু বাকি নেই। যদি না সব শূন্য থেকে সাজিয়ে নেওয়া না হয়।
পরিবেশ মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, “বক্সা এবং ডাম্পা – দুই জায়গাতেই নতুন করে বাঘের বাসস্থান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কাজিরাঙ্গা থেকে বাঘ আনা হতে পারে। বক্সায় বাঘেদের শিকারের সুবিধায় আরও একটু পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার। ডাম্পায় যদিও এই পরিবেশ যথাযথ।” এই রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, জঙ্গলের ডোরাকাটা সদস্যদের জন্য স্রেফ একটা জায়গাই গড়ে তোলা হয়েছিল। তার প্রযত্নে খামতি রয়ে গিয়েছিল। আজকের দিনে অর্থাৎ বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে এই রিপোর্ট প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.