Advertisement
Advertisement
New Town

পরিবেশ রক্ষায় অভিনব উদ্যোগ নিউটাউনে, নতুন যন্ত্র কিনে বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজ শুরু

দু'মাসের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি।

NKDA and residents work for recycling garbages with environment friendly process |Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 15, 2021 5:35 pm
  • Updated:March 15, 2021 5:48 pm  

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: গার্হস্থ্য বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার কাজে সরকারের চেষ্টার ত্রুটি নেই। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একাধিক উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নিয়েছে। এবার নিউটাউনে NKDA’এর সহায়তায় একটি বেসরকারি হাউজিং কমপ্লেক্স ব্যক্তিগত উদ্যোগে বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য পৃথকীকরণের যে কাজ প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হয় তা শুরু করল।

New Town

Advertisement

রাজারহাট-নিউটাউনে ইউনিওয়ার্ল্ড সিটি কমপ্লেক্স নামে একটি আবাসন এনকেডিএ-এর সাহায্যে নিজেরাই বাড়ির আবর্জনা পৃথকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে নিউটাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি ও হিডকোর (HIDCO) চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এই প্রকল্পের সূচনা করেন। জানা গিয়েছে, তিন দফায় এই আবাসনের ৫২টি টাওয়ার থেকে পৃথক করা আবর্জনা সংগ্রহের কাজ শুরু হচ্ছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বচ্ছ ইউনিওয়ার্ল্ড মিশন ২০২১’। অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট তিন পর্যায়ে এই বর্জ্য পৃথকীকরণের কাজ ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘দাবানলে’ পুড়ছে পুরুলিয়ার একশো হেক্টরের বেশি জঙ্গল, চিন্তা বাড়াচ্ছে শুষ্ক আবহাওয়া]

প্রথম দফায় প্রতি ফেজ থেকে একটি করে টাওয়ার বেছে নিয়ে মোট আটটি টাওয়ার থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হচ্ছে। এনকেডিএ প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য একটি করে সবুজ ও নীল বালতি দিয়েছে। সেখানে আলাদা আলাদা করে বাড়ির আবর্জনা ফেলতে হবে। সবুজ বালতিতে পচনশীল আবর্জনা ফেলতে হবে। নীল বালতিতে ফেলা হবে অপচনশীল জঞ্জাল। একইসঙ্গে দুটি বালতির জন্য ওই রঙের বায়ো ডিগ্রেডেবেল ব্যাগ কিনতে হবে আবাসিকদের। বালতিতে এই ব্যাগ রেখে তার ভিতরে ফেলতে হবে আবর্জনা। নীল এবং সবুজ দুটি রঙের ব্যাগ আবাসিকরা পাবেন।

এছাড়া প্রতি টাওয়ারে ৫০ লিটারের একটি কালো বিন থাকবে। ব্যাগভরতি জঞ্জাল ফেলা হবে। সাফাইকর্মীরা সেই আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি রিসেপশন এরিয়ায় রাখা থাকবে একটি লাল ও একটি হলুদ রঙের বিন। বায়োমেডিক্যাল আবর্জনা যেমন, ওষুধের বাক্স ও শিশি, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, স্যানিটারি ন্যাপকিন ইত্যাদি ফেলতে হবে হলুদ বিনে। লাল বিনে বিপজ্জনক বর্জ্য ফেলা হবে। যেমন, ব্যবহার্য ব্যাটারি, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ভাঙা যন্ত্রাংশ। বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ তাঁদের কিনে নিতে হবে।

[আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত জমিতেও বৃক্ষরোপনের প্রস্তাব, পরিবেশ রক্ষায় আইন বদলের ভাবনা কেন্দ্রের]

এখন আবাসনের আটটি টাওয়ার নিয়ে পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। দু’মাস ধরে এই কাজ পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর প্রতি ফেজ থেকে আরও দুটি করে টাওয়ার যুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। মোট ২৮টি টাওয়ার নিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় দফার কাজ। জানা গিয়েছে, এই কাজের সঙ্গে কম্পোজিট ইউনিট ও বসানো হয়েছে ইউনিওয়ার্ল্ডে। আবাসিকরা কোন বালতিতে কোন বর্জ্য ফেলবেন, তাঁদের প্লাস্টিকে মোড়া আবর্জনা কোথায় ফেলতে হবে, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে একটি নির্দেশিকা ছাপিয়েছে এনকেডিএ। পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে এবং ভবিষ্যতে জঞ্জালমুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন এক আধিকারিক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement