Advertisement
Advertisement
মহাশূন্যের গন্ধ

আকাশের গন্ধ কেমন? জানাবে নাসার উদ্যোগে তৈরি সুগন্ধি!

কবে হাতে আসবে সুগন্ধী 'ইউ ডি স্পেস'?

NASA works with famouse company to make frangrance of the outer world
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 1, 2020 3:49 pm
  • Updated:July 1, 2020 3:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”শুনেছ কি বলে গেল সীতানাথ বন্দ্যো?/ আকাশের গায়ে নাকি টকটক গন্ধ?/ টকটক থাকে নাকো হ’লে পরে বৃষ্টি/ তখনও দেখেছি চেটে একেবারে মিষ্টি।” সুকুমার রায়ের কল্পনায় আকাশের ঘ্রাণ আর স্বাদ পেয়েছিল আমবাঙালি। বইয়ের পাতা থেকে এবার বাস্তবের মাটিতে তা উপভোগের পালা। চমকে গেলেন? কিন্তু এটাই সত্যি হতে চলেছে। আকাশের গন্ধ সত্যিই ‘টকটক’ কি না, তা বোঝা যাবে। এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে বহির্বিশ্বের গন্ধের সঙ্গে আমাদের পরিচিতি ঘটাতে চলেছে নাসা (NASA)। তৈরি হচ্ছে সুগন্ধি।

Eau-De-Space

Advertisement

মহাশূন্যে কী-ই বা স্পর্শ, কী-ই বা ঘ্রাণ! সে তো কেবল গল্প, কবিতায়। এখানে এসেই এবার থমকাতে হচ্ছে। পৃথিবীর বাইরের মহাশূন্যের রূপ তো আমরা দেখেছি। এবার ঘ্রাণও পাওয়া যাবে। সুগন্ধী বানানোর জন্য নাসা গাঁটছড়া বেঁধেছে ‘ওমেগা ইনগ্রেডিয়েন্টস’ নামে এক সংস্থার সঙ্গে। ‘ইউ ডি স্পেস’ (Eau de Space) তৈরিতে মহাকাশচারীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারছেন, মহাশূন্যে পাড়ি দেওয়ার পর ঠিক কেমন গন্ধ পেয়েছিলেন।

[আরও পড়ুন: সূর্যের ১০ বছরের যাত্রা ধরা পড়ল মাত্র ১ ঘণ্টায়! সৌজন্যে নাসার ‘টাইম ল্যাপস’ ভিডিও]

স্টিভ পিয়ার্স, রসায়নবিদ এবং ‘ওমেগা ইনগ্রেডিয়েন্স’এর প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশের গন্ধ নিয়ে একটি সুগন্ধি তৈরির চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছিলেন না। বছর ১২ আগে নাসার তরফে সুগন্ধি তৈরির জন্য এই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপর নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।

এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সকলের উৎসাহ তুঙ্গে। কেমন সেই গন্ধ? কবে হাতে আসবে ‘ইউ ডি স্পেস’? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যা জানা যাচ্ছে, তা বোধহয় আগ্রহের আঁচে কিছুটা জলই ঢেলে দিল। নামেই সুগন্ধি! মহাকাশচারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে জানাচ্ছেন, টকটক নয়, সে গন্ধ নাকি গোলাবারুদের – ধোঁয়া ধোঁয়া। বিখ্যাত নভোশ্চর পেগি হুইটসনের কথায়, ”ধোঁয়াটে আর পোড়া-পোড়া, তিতকুটে গন্ধ।” তাঁদের এই অভিজ্ঞতাই ‘ইউ ডি স্পেস’ তৈরির মূল উপকরণ।

[আরও পড়ুন: চাঁদে শৌচাগার বানাতে নকশা চাইছে নাসা, মডেল পছন্দ হলে রয়েছে নগদ পুরস্কার]

তবে সুগন্ধি কিন্তু আমার-আপনার হাতে নাও আসতে পারে। কারণ, নাসা এবং প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, এটা মূলত নভোশ্চরদের জন্যই তৈরি হচ্ছে। মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার আগে তাঁদের ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে আকাশ-গন্ধে অভ্যস্ত করানোই ‘ইউ ডি স্পেস’ তৈরির অন্যতম লক্ষ্য। তাই সুগন্ধিটি সম্ভবত নাসারই কুক্ষিগত হয়ে থাকবে। বাজারে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement