সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’-এর কুফল ইতিমধ্যেই ভোগ করছে পৃথিবী (Earth)। আগের থেকে বন্যা-খরার প্রবণতা বাড়ছে। চিন্তায় পরিবেশবিদ, ভৌগোলিক, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে এরই মাঝে কিছুটা আশার আলো দেখাল নাসার (NASA) একটি খবর। আর তা হল–ওজোন স্তরে (Ozone layer) যে গর্ত দেখা গিয়েছিল, তা ধীরে ধীরে ছোট হচ্ছে।
নাসার গোদার্দ স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের বিজ্ঞানীরা পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন যে, চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এবং ১৩ অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে অ্যান্টার্কটিকার কাছাকাছি বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের গর্তের বিস্তার ছিল গড়ে ২৩.২ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। গত বছর ঠিক এই সময়ে এই পরিমাণ ছিল সামান্য হলেও বেশি। ২০২১ সালের হিসাব বলছে ওজোন ‘হোল’-এর বিস্তার ছিল ২৪.৮ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।
প্রসঙ্গত, সূর্যের ক্ষতিকারক অতি-বেগুনি রশ্মির পৃথিবীতে এসে পৌঁছনোর পথে ঢাল হিসাবে কাজ করে বায়ুমন্ডলের ওজোনোস্ফিয়ার। কিন্তু বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ইতিমধ্যেই এই ওজোনোস্ফিয়ারে ছিদ্র বা গর্ত তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। মানুষের কার্যকলাপে বেড়েছে দূষণ। বাতাসে বেড়েছে ক্ষতিকারক সিএফসি অর্থাৎ ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের মাত্রা। তাতেই দিন দিন বেড়ে চলেছে ওজোন স্তরের ছিদ্রের পরিমাণ।বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করেও যা রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন এ যাবৎ। তবে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এই দাবিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে।
নাসার গোদার্দ স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের আর্থ সায়েন্সেস-এর প্রধান বিজ্ঞানী, পল নিউম্যান জানিয়েছেন, ‘‘যত সময় যাচ্ছে, আমরা আমাদের লক্ষ্যে সফল হচ্ছি কারণ ছিদ্র ক্রমশ কমছে। হ্যাঁ, দৈনন্দিন হারে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন, তার জেরে পরিসংখ্যান কিছুটা এদিক-ওদিক হতেই পারে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে গত দু’দশকের নিরিখে বিচার করলে ছিদ্র কমছে। মন্ট্রিয়াল প্রোটোকল মেনে ওজোন-ধ্বংসকারী পদার্থের ব্যবহার বর্জিত হয়েছে। তার ফলেও ওজোন ছিদ্র আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.