সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিরতুষারের দেশ আন্টার্কটিকা (Antarctica)। এবার সেখানেই ঘনিয়ে উঠল রহস্য। কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে ধরা পড়েছে সাত মাইল এলাকা ধরে বরফের উপরে রহস্যময় দাগ! যা দেখে বিজ্ঞানীদের কপালে ভাঁজ। পাণ্ডববর্জিত ওই এলাকায় মাটির উপরে কীসের দাগ ওটা? যেন কোনও কিছু খুব দ্রুতবেগে ওখান দিয়ে চলে গিয়েছে! এই দাগ নিয়েই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
পৃথিবীর অন্যতম দুর্গম স্থান আন্টার্কটিকার কোনও কোনও জায়গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিছু এলাকা এতই দুর্গম, বিজ্ঞানীরা সেখানে পৌঁছতে পারেন না। সেক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ইমেজই ভরসা। আর এবার সেই ছবি দেখেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। ওই রহস্যময় দাগের উৎস কী? ছবি দেখে সাংবাদিক জো পাপ্পালার্দোর মত, ”মনে হচ্ছে, কিছু একটা যেন দ্রুত নিচে নেমে বরফের উপর দিয়ে দ্রুতবেগে চলে গিয়েছে। সম্ভবত কোনও কিছু ভেঙে পড়েছে।” তাঁর ইঙ্গিত বিমান দুর্ঘটনার দিকেই। তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৯৭৯ সালে অ্যান্টার্কটিকাতেই নিউজিল্যান্ডের ফ্লাইট ৯০১ বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। বিমানের ২৩৭ জনেরই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল।
তবে পাপ্পালার্দোর তত্ত্ব নাকচ করে দিয়েছেন বিজ্ঞানী মার্ক ডি’ অ্যান্টনিও। তাঁর মতে, ছবিটি খুঁটিয়ে দেখলে বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতেই হবে। কেননা আশপাশে এমন কোনও চিহ্নই নেই, যা বিমান দুর্ঘটনার পক্ষে প্রমাণ দেয়।হয়তো এ বিষয়ে আরও অনেক দাবির দেখা পাওয়া যেত। বিশেষ করে ‘কন্সপিরেসি থিওরিস্টরা’ অনেক সময়ই যে কোনও রহস্যময় ঘটনা সম্পর্কে আজগুবি দাবি করে থাকেন।
কিন্তু সেই অবকাশ আর রইল না। রহস্যের সমাধান ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন নাসার (NASA) বিজ্ঞানী ড. কেলি ব্রান্ট। তিনি নিজে ওই দুর্গম স্থানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আর তখনই তাঁর কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় বিষয়টি। তিনি জানিয়েছেন, ওই দাগ আসলে এক বিরল হিমবাহের। বহু টন বরফ একসঙ্গে জমে ওই ধরনের হিমবাহ তৈরি হয়। তারপর ইরাবাস পর্বতের উপর থেকে তা দ্রুত নেমে আসে নিচে। প্রবল গতিতে গড়িয়ে যায় সামনের দিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.