Advertisement
Advertisement
নাসা

বন্ধু দেশের মহাকাশচারীদের জন্য স্পেস স্টেশন খুলে দিল নাসা

কবে থেকে বন্ধু দেশগুলি ব‌্যবহার করতে পারে লুনার স্পেস স্টেশন?

NASA opens door of Lunar Orbital Platform for friendly nations

প্রতীকী ছবি।

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 27, 2019 1:30 pm
  • Updated:October 27, 2019 1:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পর এবার চন্দ্রলোকে লুনার স্পেস স্টেশন বানাচ্ছে নাসা। যেখান থেকে চাঁদে তাদের পরবর্তী মানব অভিযানে তো বটেই সৌরজগতের অন‌্যান‌্য গ্রহেও সহজেই পাড়ি দেওয়া যাবে। তবে এই সুবিধা একা নাসা নয়, নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় চুক্তিবদ্ধ দেশগুলিও পাবে। লুনার স্পেস স্টেশনে থেকে সুবিধা নিতে পারবে চাঁদে নিজেদের দেশের মহাকাশচারী মঙ্গলবার এই সুখবর নিজেই জানিয়েছে নাসা।

ওয়াশিংটনে আয়োজন করা হয়েছিল মহাকাশ বিজ্ঞান কংগ্রেসের। সেখানেই নাসার প্রধান জিম ব্রাইডেনস্টাইন জানান, চাঁদে এখন অনেক জায়গা। আর আমরা চাইব আমাদের বন্ধু দেশগুলিও চাঁদে আসুক। অবশ‌্য ২০২৪ সালে নয়। ব্রাইডেনস্টাইন জানিয়েছেন, ওই বছরটা পুরোপুরি মার্কিন গবেষণার জন‌্যই ব‌্যবহার করা হবে লুনার স্পেস স্টেশনকে। তবে বন্ধু দেশ ইউরোপের ইসা, জাপানের জাক্সা বা রাশিয়া ২০২৭ কিংবা ২০২৮ সাল থেকে ব‌্যবহার করতে পারে লুনার স্পেস স্টেশনকে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: এবার শিশুপাঠ্যে জল সংরক্ষণ, নয়া ভাবনা স্কুলশিক্ষা দপ্তরের ]

২০২৪ সালে নাসার পরবর্তী চন্দ্রাভিযান ‘আর্তেমিস’ নিয়ে ব‌্যস্ত নাসা। পৃথিবীর জোরালো অভিকর্ষজ বলের মায়া কাটিয়ে মহাকাশযানকে চাঁদে পাঠানোর অনেক জটিলতা থাকে। লুনার স্পেস স্টেশন হলে সেখানে বসেই গবেষণা চালানো যাবে। আবার ছোটখাটো মহাকাশযান বানিয়ে যখন তখন পাঠিয়েও দেওয়া যাবে মহাকাশে।

নাসা জানিয়েছে, এই লুনার স্পেস স্টেশন হবে সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন গ্রহে যাওয়ার জন্য নাসার একমাত্র ‘ট্রান্সপোর্টেশন হাব’। তাতে মহাকাশযানের জ্বালানি সাশ্রয়ও হবে অনেকটা। তবে তার জন্য লঞ্চপ্যাডও বানাতে হবে চাঁদের মাটিতে। তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে পৃথিবী থেকে বার বার মালপত্র বয়ে নিয়ে যাওয়ার ঝক্কি অনেক। তাই আগে চাঁদের কক্ষপথে জমিয়ে বসতে হবে মার্কিন গবেষণা সংস্থাকে। তার জন্যই এই লুনার স্পেস স্টেশন। উল্লেখ‌্য, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) রয়েছে পৃথিবী থেকে ৩৭০ কিলোমিটার উপরে। আরলুনার স্পেস স্টেশন তৈরি হচ্ছে পৃথিবী থেকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কিলোমিটার দূরে। নাসা জানিয়েছে, স্পেস স্টেশন বানানোর প্রাথমিক কাজ শেষ হবে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে। দ্বিতীয় পর্যায়, অর্থাৎ নভশ্চরদের নিয়ে পাকাপাকি ভাবে বাসযোগ্য আস্তানা গড়ে তোলার কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালের মধ্যে।

[ আরও পড়ুন: বাতাসে বিষ, বাঁচার তাগিদে বাজি বয়কট দিল্লিবাসীদের ]

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের মতো অত বড় না হলেও লুনার স্পেস স্টেশনে দুই থেকে তিনজন নভশ্চরের ভালভাবে থাকা ও গবেষণার জায়গা তৈরি হচ্ছে। চাঁদের হলো কক্ষপথে বসানো হবে এই স্পেস স্টেশন। যার দূরত্ব চাঁদের উত্তর মেরু থেকে ৩০০০ কিলোমিটার এবং আঁধার দক্ষিণ মেরু থেকে প্রায় ৭০,০০০ কিলোমিটার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement