সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ডিসেম্বরেই মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (James Webb Space Telescope)। দীর্ঘ দু’ সপ্তাহ পরে এবার কর্মক্ষম হয়ে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই টেলিস্কোপ। হাবল স্পেস টেলিস্কোপের উত্তরসূরি এবার থেকে মহাকাশে তার নজরদারি চালাবে। মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা করল জেমস।
স্বাভাবিক ভাবেই আবেগে ভেসে যাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। নাসার (NASA) এক সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার থমাস জুরবুচেন জানাচ্ছেন, ‘‘আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি। এ এক অসাধারণ মাইল ফলক। আপনাদের জানাতে চাই আজ আমি কতটা উত্তেজিত। আমরা টেলিস্কোপটিকে তার কক্ষপথে স্থাপন করতে সফল হয়েছি।’’
Congratulations, @NASAWebb! You are fully deployed! 🥳
Stay tuned over the coming months as the space telescope reaches its destination of Lagrange point 2 and prepares to #UnfoldTheUniverse: pic.twitter.com/qg6jmVRCsH
— NASA (@NASA) January 8, 2022
তিন দশক ধরে মহাকাশে মানুষের ‘চোখ’ হয়ে অবস্থান করেছে হাবল। এবার তার জায়গায় এসেছে জেমস। এই নয়া টেলিস্কোপ আকারে এতই বড় যে চালু অবস্থায় তাকে মহাকাশে পাঠানো সম্ভব ছিল না। ফলে মহাকাশে নিজের অবস্থানে পৌঁছনোর পরেই ধীরে ধীরে তাকে কর্মক্ষম করে তোলার কাজ শুরু হয়। অবশেষে শনিবার সেটির সোনালি আয়নার প্যানেলটি খুলে যেতেই কর্মক্ষম হয়ে ওঠে এই অতিকায় টেলিস্কোপ। বিজ্ঞানীদের অনেক আশা জেমসকে ঘিরে। হয়তো মহাকাশের কতই না রহস্য উন্মোচিত হবে এই টেলিস্কোপের সাহায্যে। বহু অব্যাখ্যাত মহাজাগতিক কাণ্ডকারখানার স্বরূপ বোঝা সম্ভব হবে।
বিশ্ব মহাকাশ গবেষণায় এই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের গুরুত্ব ঠিক কতটা, কয়েকটি তথ্য না জানলে ঠিক উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি এই টেলিস্কোপটি তৈরি হয়েছে। মহাকাশের এই খুব শক্তিশালী টেলিস্কোপটি বানাতে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি। পৃথিবী থেকে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে এই টেলিস্কোপ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.