প্রতীকী চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে হঠাৎই ভয়ংকর শব্দে কেঁপে উঠল চারপাশ। স্থানীয় জনতার মনে হয়েছিল, বুঝি আকাশ ভেঙে পড়েছে। শনিবার রাতে এমনই অভিজ্ঞতা হল কিউবার (Cuba) নাগরিকদের। রবিবার সকালে ‘ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সার্ভিস’-এর প্রধান এনরিক আরাঞ্জো ঘটনার রহস্যভেদ করে জানিয়েছেন, অতিকায় এক উল্কাপিণ্ড (Meteor) আছড়ে পড়ার ফলেই ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে উল্কাপাতের ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর মেলেনি।
কিন্তু সাধারণ উল্কাপাতের ক্ষেত্রে তো এমন ঘটনা সচরাচর ঘটতে দেখা যায় না! তাহলে এক্ষেত্রে এতটা ভয়াবহ শব্দ ও আলো কেন ঝলসে উঠতে দেখা গেল? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার ফলে ঘর্ষণের কারণে প্রবল আলোর ঝলকানি-সহ সেটা মাটিতে আছড়ে পড়ে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, তখন ঘড়িতে বাজে রাত ১০টা ৬ মিনিট। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই সময়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে একঝাঁক উল্কাপিণ্ড ঢুকে পড়তে দেখা গিয়েছিল।
Sensor de relámpagos (GLM) del satélite GOES-East detecta el destello del posible meteorito que fue avistado en varias provincias orientales. Marcado por la cuadricula verde en una zona completamente desprovista de nubes. El color verde no corresponde al color del destello 1/2 pic.twitter.com/SLQPubc33X
— Elier Pila Fariñas (@elierpf) March 20, 2021
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমেরিকাতেও এমনই এক উল্কাপাত দেখা গিয়েছিল। আমেরিকার (US) ভারমন্ট প্রদেশের বাসিন্দারা সাক্ষী হয়েছিলেন এক চাঞ্চল্যকর উল্কাপাতের। কেবল আমেরিকাই নয়, ওই উল্কাপাতের ছটা নজরে এসেছিল নিউ ইংল্যান্ড ও কানাডা থেকেও। নাসা জানিয়েছিল, ওই উল্কা মাটিতে আছড়ে পড়ার তীব্রতা ছিল ২০০ কিলোগ্রাম টিএনটি বা ট্রাইনাইট্রোটলুইন বিস্ফোরণের সমান।
তবে সাধারণত উল্কাপাতের ক্ষেত্রে সেগুলি বায়ুমণ্ডলে ঢোকার পরই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে কেবল আকাশে আলোর রেখার বেশি দেখা যায় না। তবে কখনও কখনও কিউবার মতো ঘটনাও ঘটে যায়। এযাবৎ সভ্যতার সবচেয়ে বড় উল্কাপাতের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮৯০ সালে। অ্যারিজোনায় ২২ লক্ষ টনেরও বেশি ভারী এক উল্কা আছড়ে পড়ার ফলে মাটিতে যে গর্ত তৈরি হয় তার ব্যাস ছিল চার হাজার ফুটেরও বেশি। গভীরতা ৫০০ ফুট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.