প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ধের অন্ধকার আকাশে হঠাৎই ছুটন্ত আলোর রেখা। আর তারপরই প্রচণ্ড শব্দ ও আলোর ঝলকানি। এভাবেই আমেরিকার (US) ভারমন্ট প্রদেশের বাসিন্দারা সাক্ষী হলেন এক চাঞ্চল্যকর উল্কাপাতের। কেবল আমেরিকাই নয়, ওই উল্কাপাতের ছটা নজরে এসেছে নিউ ইংল্যান্ড ও কানাডা থেকেও।
নাসা জানিয়েছে, ওই উল্কা (Meteor) মাটিতে আছড়ে পড়ার তীব্রতা ছিল ২০০ কিলোগ্রাম টিএনটি বা ট্রাইনাইট্রোটলুইন বিস্ফোরণের সমান। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ওই উল্কাপিণ্ডটির ওজন ছিল প্রায় সাড়ে চার কেজি। দৈর্ঘ্যে ১৫ সেন্টিমিটার। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ার পরে তার গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৬৮ হাজার কিলোমিটার।
ওজনে পাঁচ কেজির কম হওয়া সত্ত্বেও কী করে ওই পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করল উল্কাটি? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এর পিছনে অন্যতম কারণ উল্কাপিণ্ডটির দুর্দান্ত গতি। যার ফলে বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ার পর তার গতিপথে তৈরি হয়েছিল প্রবল চাপ। যার ফলে বাতাসে খানিকটা করে শূন্য অংশ সৃষ্টি হয়। নাসা জানিয়েছে, এর ফলেই ওই প্রবল শব্দের জন্ম হয়েছিল। উল্কাটি মাটিতে আছড়ে পড়ার সময় প্রবল ভাবে কেঁপে উঠেছিল আশপাশের বাড়ি। আর সেই সঙ্গে উৎপন্ন হয়েছিল প্রচণ্ড শব্দ।
For anyone who was wondering about the big boom / meteor earlier today in #btv #vermont , I dug through some webcam footage and found this on the WCAX / BTV Airport webcam- watch the upper left. pic.twitter.com/oyVLSoVahP
— Jeremy LaClair (@JeremyLaclair) March 8, 2021
উল্কাটি প্রথম দেখতে পাওয়ার উত্তেজনাময় মুহূর্তটির কথা জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর কথায়, ”আমি ভাগ্যবান যে একই সঙ্গে উল্কাটিকে দেখতেও পেয়েছিলাম। আবার তার আছড়ে পড়ার শব্দও পেয়েছিলাম মিসিসকোই নদীর ধারে। সূর্যাস্তের ঠিক আগে আছড়ে পড়েছিল উল্কাটি। যেখানে ছিলাম, সেখানে শব্দের প্রাবল্য অত বেশি না থাকলেও শব্দ হয়েছিল। আর ঠিক তখনই আমি আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম। দেখেছিলাম আকাশে আলোর ছটা। দারুণ অভিজ্ঞতা!”
প্রসঙ্গত, উল্কাকে বলা হয় মহাকাশের জানলা। বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়া উল্কাপিণ্ডকে নিরীক্ষণ করেই সভ্যতার গতিবিধি ও বিশ্বে প্রাণের স্বরূপকে বুঝতে সাহায্য করেন বিজ্ঞানীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.