প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন কল্পবিজ্ঞান সিনেমার দৃশ্য। নতুন বছরের শুরুতেই প্রকাণ্ড এক উল্কা (Meteor) আছড়ে পড়ল মার্কিন (US) মুলুকে। সেই বিস্ফোরণ দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, যে পরিমাণ এনার্জি বিচ্ছুরিত হয়েছে তা ৩০ টন TNT তথা ট্রাই-নাইট্রো টলুইনের সমান। উল্লেখ্য, টিএনটি এক এমন রাসায়নিক যার বিস্ফোরণ ঘটানোর ক্ষমতা অপরিসীম।
পিটসবার্গের আকাশ মেঘলা থাকায় ওই ভয়াবহ উল্কাপাতের দৃশ্যের ঝলকানি দেখার সুযোগ মেলেনি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তা সম্ভব হলে পূর্ণ জ্যোৎস্নার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি উজ্জ্বল আলোয় ভরে উঠত আশপাশের এলাকা। সেই অপার্থিব ঝলকানি দেখা যায়নি স্রেফ আকাশে মেঘ থাকায়।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, উল্কাটি ৭২ হাজার ৪২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে আছড়ে পড়েছিল। মেঘলা আকাশে দৃশ্যটি চাক্ষুষ করতে না পারলেও এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন কানে তালা লাগানো ভয়ংকর শব্দ অবশ্য পেয়েছেন তাঁরা। ওই শব্দ যে উল্কাপাতের, সেকথা নিশ্চিত করতে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, ওইদিন ওই সময় কোনওরকম বজ্রপাত বা বিদ্যুতের ঝলকানির ঘটনা ঘটেনি। সুতরাং ওই শব্দ উল্কাপাতেরই ছিল।
একই রকম উল্কাপাতের ঘটনা ঘটেছিল গত সেপ্টেম্বরে। পশ্চিম ভার্জিনিয়ার হার্ডি কাউন্টি এলাকায় আছড়ে পড়েছিল একটি অতিকায় উল্কা। তবে এবারের উল্কাপাত যে বিশেষ, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, আগন্তুক গ্রহাণু অতীতে বহুবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে এবং পৃথিবীর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পিছনেও এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর আছড়ে পড়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক অতীতে বহুবারই গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষে মানব সভ্যতা ধ্বংস হওয়ার নানা জল্পনা ও গুজব শোনা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.