Advertisement
Advertisement
Reproduce

পুরুষ ‘ডিম্বাণু’, স্ত্রী ‘শুক্রাণু’! প্রজননে বিপ্লব আনতে চলেছে ‘স্টেম সেল সায়েন্স’

এই পদ্ধতিতে সমকামী দম্পতিদের সন্তান ধারণে বাধা থাকবে না।

Men's Eggs, Women's Sperm: Science May Change Reproduce | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 18, 2023 1:54 pm
  • Updated:December 18, 2023 1:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসা বিজ্ঞানে অগ্রগতির জয়জয়কার! এবার পুরুষের থেকে ‘ডিম্বাণু’ এবং মহিলার থেকে ‘শুক্রাণু’ তৈরি করে জন্ম দেওয়া যেতে পারে নতুন প্রাণের। তা-ও আবার মানব-শরীরের বাইরেই (ইন ভিট্রো পদ্ধতি)। গোটাটাই স্টেম সেল সায়েন্সের ‘মিরাক‌ল’! প্রজননে বিপ্লব ঘটানো পদ্ধতিটির পোশাকি নাম ‘ইন ভিট্রো গ‌্যামেটোজেনেসিস’।

আজ্ঞে হ্যাঁ। বিজ্ঞানের কেরামতিতে এখন অনেক কিছুই সম্ভব, আগে যা ভাবাই যেত না। মানব শরীরের বাইরে, ডিম্বাণু-শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে নতুন ভ্রুণ তৈরি করা অর্থাৎ ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ পদ্ধতির কথা বর্তমানে সর্বজনবিদিত। অথচ আগে তা ভাবাই যেত না। তবে আইভিএফ-এ (IVF) ডিম্বাণু আসত নারীদেহ থেকেই আর শুক্রাণু সংগ্রহ করা হত পুরুষের শরীর থেকেই। ‘ইন ভিট্রো গ‌্যামেটোজেনেসিস’-এ ব‌্যাপারটা তা নয়। এখানে নারী হোক বা পুরুষ, যে কারও শরীরের যে কোনও কোষকে প্রযুক্তির সাহায্যে প্রজনন কোষে পরিণত করা সম্ভব। অর্থাৎ পুরুষ ত্বকের কোনও কোষ ডিম্বাণুতে পরিণত হতে পারে, আবার কোনও মহিলার ত্বকের কোষ থেকে শুক্রাণু তৈরি করা যেতে পারে। তবে, এই গোটা বিষয়টাই এখন পরীক্ষামূলক স্তরে আছে। এই নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। অন‌্যদিকে, নিউবায়োটেকনোলজি ‘স্টার্ট আপ’ এই প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

Advertisement

 

[আরও পড়ুন: করোনার দাপটে দেশে একদিনেই মৃত ৫, ভয় ধরাচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্ট, সতর্কবার্তা WHO-র]

কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি? ‘ইন ভিট্রো গ‌্যামেটোজেনেসিস’-এ কাজ শুরু হয় ‘প্লুরিপোটেন্ট স্টেম সেল’ দিয়ে। এই ধরনের কোষ থেকে নানা ধরনের কোষ তৈরি করা সম্ভব। ‘আর্লি এমব্রায়ো’ অর্থাৎ প্রাথমিক ভ্রুণ থেকে নেওয়া স্টেম সেল দিয়ে কাজ শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ার প্রয়োগ ইতিমধ্যে ইঁদুরের উপর হয়েছে। মানুষের উপর এখনও হয়নি। তবে বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘ইন ভিট্রো গ‌্যামেটোজেনেসিস’-এর প্রয়োগ সবুজ সংকেত পেলে সমকামী দম্পতিদেরও সন্তান ধারণ করতে পারবেন। এছাড়াও একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

 

[আরও পড়ুন: ইডেন গার্ডেন্সের গ্যালারি থেকে উদ্ধার দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য]

যেমন–১) আইভিএফ প্রক্রিয়ার জটিলতা এখানে নেই। ২) বন্ধ‌্যাত্বের সমস‌্যা নিবারণ সম্ভব। ৩) বয়স বাড়লে সন্তান ধারণে জটিলতা বাড়ে–এই ধারণা নিরসন করা যেতে পারে প্রভৃতি। এখনও পর্যন্ত যতটুকু জানা গিয়েছে, ‘ইন ভিট্রো গ‌্যামেটোজেনেসিস’ পদ্ধতি পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কড়া নজরদারি প্রয়োজন। আবার এই পদ্ধতিতে যে সন্তানের জন্ম হবে, তার ‘বৈধ অভিভাবক’ কারা হবেন, তা নিয়েও দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে পারে, সারোগেসি-র অস্তিত্ব নিয়েও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement