Advertisement
Advertisement
Purulia

পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ড সীমানায় চোখ রাঙাচ্ছে হাতির দল, পুজোয় ছুটি বাতিল বনকর্মীদের

পুুরুলিয়া লাগোয়া বনাঞ্চলে কুইক রেসপন্স টিম ও র‍্যাপিড রেসপন্স টিম ছাড়াও ওই রেঞ্জগুলোতে থাকবে একটি করে ফ্লাইং স্কোয়াড।

Leave of forest dept staff is canceled during Durga Puja due to elephant attack in Purulia

ফাইল ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 6, 2024 5:28 pm
  • Updated:October 7, 2024 4:22 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: আমন ধানে শিস বেরতে শুরু করেছে। আর সেই গন্ধেই পুরুলিয়া(Purulia) ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ড মিলিয়ে ৬৬টি বুনো হাতি চোখ রাঙাচ্ছে। পুজোর প্রাক্কালে এই বিপুল সংখ্যক হাতি চিন্তা এবং উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে এই জেলার পাহাড়তলির বাসিন্দাদের। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই পুরুলিয়া বন বিভাগের সমস্ত কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পুজোর সময় জঙ্গলমহলের এই জেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষ হাতি উপদ্রুত এলাকায় রাস্তায় থাকেন। সেই কারণেই বনকর্মীদের ছুটি বাতিল করে তাঁদের উপদ্রুত রেঞ্জগুলিতে মোতায়েন করবে পুরুলিয়া বনবিভাগ। এই বনবিভাগে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুমের দুটি নম্বর ৭০০৩৬৩৪১৩০ ৮০০১৯৪৫৫৯৭

হাতি উপদ্রুত রেঞ্জগুলিতে বনাঞ্চল কার্যালয়ে দুটি করে টিম প্রস্তুত থাকবে – কুইক রেসপন্স টিম ও র‍্যাপিড রেসপন্স টিম। এছাড়া ওই রেঞ্জগুলোতে থাকবে একটি করে ফ্লাইং স্কোয়াড। লোকালয়ে হাতি আসার খবর মিললেই তারা পদক্ষেপ নেবে। পুরুলিয়া বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, ‘‘পুজোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের দায়িত্ব পালনই হচ্ছে আরেকটা উৎসব। দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আনন্দ মেলে। সাধারণভাবে পুজোর সময় সমস্ত কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তবে এটাও ঠিক, কোনও কর্মী এই সময় ছুটি চাননি। পুজোয় যাতে সাধারণ মানুষজন পাহাড়-জঙ্গল এলাকায় ঠাকুর দেখতে পারেন তার আমরা সবরকম ব্যবস্থা করেছি।’’

Advertisement
বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় এই ৬৬টি হাতি রয়েছে। ফাইল ছবি।

বেশ কয়েক বছর ধরেই পুরুলিয়া বনবিভাগ পুজোর সময় একেবারে ‘পাহারাদার’ হয়ে সাধারণ মানুষকে আগলে রাখেন। যাতে বুনো হাতি লোকালয়ে ঢুকে পুজোর সময় কোনও সমস্যা তৈরি করতে না পারে। এবারও বনদপ্তর সেই পথে হেঁটেছে। তবে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অনেক বেশি। গত দুবছর ধরেই পুরুলিয়ায় হাতির হামলায় ক্ষয়ক্ষতি আগের বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। বনদপ্তরে নজরদারিতে এই সুফল মিলেছে। কিন্তু এই জেলায় অর্থাৎ এই বনবিভাগে হাতির বিচরণের সংখ্যা কিন্তু ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে। শনিবার এই জেলা ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ড সীমানা মিলিয়ে ৬৬টি হাতি রয়েছে। ওই বিপুল সংখ্যক হাতি কোনও বড়সড় ক্ষতি না করলেও সবজি এবং আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তাদের অবাধ বিচরণে।

বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠা, বলরামপুর রেঞ্জের পানরা, বড়চাটারমা ও সন্নিহিত ঝাড়খণ্ড সীমানায় একটি হাতি, মাঠার কুদনা মৌজায় একটি, বলরামপুর রেঞ্জের কেরোয়া মৌজায় ১টি, ঝালদা রেঞ্জের কুদাগাড়া মৌজায় ১টি, চককেরিয়ারি লাগোয়া ঝাড়খণ্ড সীমানায় ৩৪-৩৫টি হাতি। এছাড়া বাঘমুন্ডি রেঞ্জের কালিমাটি ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ড সীমানায় রয়েছে ২৬টি হাতি, অযোধ্যা রেঞ্জের পিটিডিরি মৌজায় হাতি রয়েছে একটি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement