সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটটাল ডেস্ক: লকডাউনের ফলে কমেছে পরিবেশ দূষণ। স্বচ্ছ্ব আবহাওয়া। তাই বিহারের গ্রাম থেকেও দেখা যাচ্ছে হিমালয়। পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে দেখা যাচ্ছে হিমাচলের ধৌলাধর পর্বতমালা। এবার নেপালের কাঠমান্ডু শহর থেকে ধরা পড়ল এভারেস্টে স্পষ্ট ছবি। বহু বছর পর এমন ছবি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও মন ভাল করে দিয়েছে কাঠমান্ডুবাসীর।
করোনায় প্রভাবে আজ বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। নেপালও তার ব্যতিক্রম নয়। COVID-19 ঠেকাতে লকডাউনের পথ বেছে নিয়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার। ফলে কমেছে পরিবেশ দূষণ। যার জেরে এমন স্বর্গীয় দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কাঠমান্ডু উপত্যকা। স্থানীয় নাগরিকদের মতে, বহু বছর এমন দৃশ্য দেখেনি শহর। সম্ভবত কয়েক যুগের মধ্যে প্রথমবার এভারেস্ট দর্শনের সৌভাগ্য অর্জন করলেন তাঁরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই ছবি। আর তারপরই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। কাঠমান্ডু থেকে এভারেস্টের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। দূষণের কারণে এতদিন শহর থেকে দৃশ্যমান হত না এভারেস্ট। কিন্তু লকডাউন সেই দূরত্ব মুছে দিয়েছে। এভারেস্টের এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কেউ কেউ ছবিতে কম্যান্ট করেছেন, ‘প্রকৃতি সবসময় নিজেই নিজেকে সুস্থ করে তোলে, এই ছবিই তার প্রমাণ’।
মে মাসের গোড়ার দিকে বিহারের একটি গ্রাম থেকে দৃশ্যমান হয়েছিল মাউন্ট এভারেস্ট। যদিও কাঠমান্ডুর মতো স্পষ্ট ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। কিন্তু তাই বা কম কী! সেই ছবিটিও ভাইরাল হয়েছিল নেটদুনিয়ায়। যা দেখে নেটিজেনদের কেউ কেউ জানতে চান, ওটা যে এভারেস্ট তার কী প্রমাণ আছে। এর উত্তরে এই গ্রামের এক বাসিন্দা লেখেন, তাঁর স্বামী বলেছেন যে তাঁদের ছোটবেলায় এভাবেই গ্রাম থেকে এভারেস্ট দেখা যেত। কিন্তু, আস্তে আস্তে পরিবেশ দূষিত হওয়ার ফলে তা আর দেখা যেত না। তাছাড়া বিহারের সিংহবাহিনীর গ্রামের উত্তর-পূর্ব দিকে এভারেস্টের অবস্থান। এই ছবিটি সেই উত্তর-পূর্ব দিকেরই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.