Advertisement
Advertisement
করোনার প্রতিষেধক

করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে ব্যস্ত কানপুর IIT’র গবেষকরা, সফল হলেই হবে মানবদেহে প্রয়োগ

'অধৈর্য না হয়ে অপেক্ষা করুন', বার্তা গবেষকদের।

Kanpur IIT's researcher are trying to makes corona vaccine
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 22, 2020 10:13 am
  • Updated:May 22, 2020 10:13 am  

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: “আপনাদের বুঝতে কিছু ভুল হচ্ছে। আমি বা আমার টিম করোনা প্রতিষেধক তৈরি করছি না। ওটা করছে আমাদেরই অন‌্য একটা টিম। আমার কাজ হল শুধু ওদের যথাযথ টেকনিক‌্যাল সাপোর্ট দেওয়া।” বলছেন ড. অমিতাভ বন্দ্যোপাধ‌্যায়। কানপুর আইআইটি-র ইনোভেশন অ‌্যান্ড ইনকিউবেশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত এই বঙ্গ অধ‌্যাপক করোনা মহামারির কঠিন সময়ে ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন। এক লাখ টাকার কমে তৈরি করেছেন ভেন্টিলেটর। গোটা দেশ থেকেই যা সরবরাহ করার আবেদন আসছে তাঁর কাছে। সরাসরি না হলেও এবার পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে চলেছেন করোনার আরেক ইতিহাসের সঙ্গে। সফল হলে ‘করোনা যোদ্ধা’-দের তালিকায় সোনার হরফে লেখা থাকবে তাঁর নাম।

কানপুর আইআইটি-র আরেক বঙ্গসন্তান, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অ‌্যান্ড বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বায়োফিজিসিস্ট অধ‌্যাপক ড. দিব্যেন্দু কুমার দাসের নেতৃত্বে আরও দুই গবেষক ড. আপ্পু সিং ও ড. সর্বানন্দ মাথেশ্বরণ গত দেড় মাস ধরে করছেন করোনা প্রতিষেধক তৈরির কাজ। যা এই মাসের শেষে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে পশুদের উপর। সাফল‌্য পেলে পরবর্তী ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা চলবে মানবদেহে। যার জন‌্য আরও তিন মাস সময় লাগার কথা। এই গবেষণায় ড. দাসকে বিভিন্ন কারিগরি সাহায‌্য করছে ড. বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের বিভাগ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাদা নাকি গলিত টুথপেস্ট! লালগ্রহের অগ্ন্যুৎপাতে লাভার প্রকৃতি দেখে ধন্দে বিজ্ঞানী মহল]

গোটা পরিকল্পনা সম্পর্কে এদিন ড. বন্দ্যোপাধ‌্যায় বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে গোটা বিশ্ব লড়াই করছে। আইআইটি-কানপুর ও তার বিজ্ঞানীরা নিজেদের মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কীভাবে করোনাকে হারানো যায়। ইতিমধ্যেই আমরা সুলভে ভেন্টিলেটর তৈরি করে একটা সাফল‌্য পেয়েছি। আশা করছি প্রতিষেধক তৈরি করতেও সফল হব। কারণ যে তিনজন বিশেষজ্ঞ এই গবেষণা করছেন, তাঁরা আগেও যথেষ্ট সাফল‌্য পেয়েছেন। তবে পুরোটাই এখন সময়ের গর্ভে। এই নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চলছে। অন্তত ছ’সপ্তাহ না কাটলে এর সাফল‌্য নিয়ে কোনও মন্তব‌্য করা উচিত হবে না। তাই প্রতিষেধক নিয়ে এখনই কোনও মন্তব‌্য করা বা উৎসাহিত হওয়া সময়ের আগেই আশাবাদী হওয়ার মতো বিষয় হয়ে যাবে। আমাদের উচিত অধৈর্য‌্য না হয়ে সঠিক সময় ও সঠিক ফলাফলের অপেক্ষা করা।”

নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তিও রেখেছেন ড. বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বে করোনা প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু কেউই এখনও সফল হয়নি। এই ধরনের গবেষণায় অনেক ক্ষেত্রেই সময় লাগে। তবে আমরা আশাবাদী খুব দ্রুত সাফল‌্য পাব।”

[আরও পড়ুন: বিশ্বের ২৬ ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিস্থল বঙ্গোপসাগরই, জানেন কেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement