সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিশর (Egypt)! শব্দটা শুনলেই অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত আরেকটা শব্দও মনে আসে সকলের। মমি (Mummy)। হাজার হাজার বছর আগের প্রাচীন মমি আজও বিস্ময়ের উদ্রেক করে চলেছে। একে ঘিরে কৌতূহলের কোনও শেষ নেই। বরং তা যেন বেড়েই চলেছে। এবার ইটালির (Italy) এক হাসপাতালে রীতিমতো সিটি স্ক্যান করা হল ৩ হাজার বছরের প্রাচীন এক মমির।
এই মমি অবশ্য কোনও ফারাও বা সম্রাটের নয়। আনখেখোনসু নামে এক পুরোহিতের। প্রাচীন মিশরে রাজাদের মতোই ক্ষমতাবান ছিলেন পুরোহিতরাও। সেই কারণে মৃত্যুর পরে তাঁদের দেহও সংরক্ষণ করে মমি বানিয়ে রাখা হত। ইটালির শহর বার্গামোর প্রত্নতত্ত্বের এক জাদুঘরে এতদিন রাখা ছিল এই পুরোহিতের মমিটি। এবার সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় মিলান শহরের পলিক্লিনিকো হাসপাতালে। সেখানেই সিটি স্ক্যান করা হয় মমিটির।
কিন্তু কেন? গবেষকদের বিশ্বাস, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের সাহায্যে যে কোনও মমির জীবন ও মৃত্যুর উপরে অনেকটাই আলো ফেলা সম্ভব তাঁদের পক্ষে। প্রাচীন মিশরীয় পুরোহিত আনখেখোনসুর ক্ষেত্রেও সেটাই করা উদ্দেশ্য তাঁদের। আর তাই ওই সিটি স্ক্যান। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক মমি গবেষক সাবিনা মালগরা জানাচ্ছেন, ‘‘মমিরা আসলে একেকটি জৈব জাদুঘর। বলা যায় টাইম ক্যাপসুল।’’
কোনও মৃতদেহকে এত দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করে রাখার জন্য এতে ঠিক কী কী পদার্থ মেশানো হত তার খুঁটিনাটিও দীর্ঘদিন ধরে বুঝতে চাইছেন গবেষকরা। সেই কারণে এই মমিটির আবরণের উপাদানও খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
পাশাপাশি প্রাচীনকালে রোগজীবাণুর প্রকোপ বুঝতেও সাহায্য করে এই ধরনের মমির পর্যবেক্ষণ। সাবিনা মালগরার কথায়, ‘‘প্রাচীন যুগের রোগ ও চোটআঘাতের পর্যবেক্ষণ আধুনিক চিকিৎসায় গবেষণার দারুণ কাজে আসে। অতীতের ক্যানসার অথবা আর্টেরিওসক্লেরোসিসের মতো অসুখকে পর্যবেক্ষণ করলে তা আধুনিক গবেষণার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.