সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের শুরুর দিকের কথা। মহাকাশে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ‘করমর্দন’ বা সংযুক্ত হয় ইসরোর দুটি কৃত্রিম উপগ্রহ। তৈরি হয়েছিল ইতিহাস। এবার ফের নয়া ইতিহাস গড়ল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এবার তারা ‘আনডকিং’ করতে সমর্থ হল। এই পদক্ষেপকে ‘যুগান্তকারী’ বলে মনে করছেন মহাকাশ গবেষকরা। এবার থেকে ভবিষ্যতে নিজে নিজেই পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে ভারতীয় মহাকাশযানগুলি। এই পদ্ধতি কাজে আসবে চন্দ্রযান-৪, গগনযানের মতো অভিযানগুলির ক্ষেত্রে। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে আর তাদের নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনই পড়বে না। এমনটাই আশা। স্পেডেক্স মিশন সেই স্বপ্নকেই জোরাল করল।
মাস দুয়েক আগে ওই দুই কৃত্রিম উপগ্রহের মধ্যে ‘করমর্দন’ সম্পন্ন হয়। রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশে হিসাবে এই সাফল্য অর্জন করেছিল ভারত। কী এই ‘স্পেস ডকিং’? এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। মহাকাশে দুই উপগ্রহকে একই বিন্দুতে অবস্থান করানোর নামই ‘স্পেস ডকিং’। ইসরোর লক্ষ্য ছিল স্পেডেক্স ১ ও স্পেডেক্স ২, এই দুই কৃত্রিম উপগ্রহকে একত্রিত করা। ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর সেই দুই উপগ্রহকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে স্পেডেক্স ১ হল চেজার। স্পেডেক্স ২ টার্গেট।
Spadex undocking captured from both SDX-1 & SDX-2!
Watch the spectacular views of this successful separation in orbit.
Congratulations to India on this milestone!
#Spadex #ISRO #SpaceTech pic.twitter.com/7u158tgKSG
— ISRO (@isro) March 13, 2025
১২ জানুয়ারি ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৫ মিটার থেকে ৩ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত কাছাকাছি আনার পরে ফের দুই উপগ্রহকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে ঠিক করা হবে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেই পদক্ষেপ করে ইসরো। স্যাটেলাইট ডকিং সফল হয়। এবার সম্পন্ন হল ‘আনডকিং’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ একে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.