সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোর ৬টা ২৩ মিনিট। সূর্য সবে চোখ মেলছে পুব আকাশে। তখনই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখা গেল আগুনের ছটা। ইতিহাস তৈরি করল ইসরো। কেননা শততম উৎক্ষেপণের নজির গড়ল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
আজ থেকে ৪৬ বছর আগে শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হয়েছিল প্রথম উপগ্রহ। তারপর দেখতে দেখতে এতটা পথ পেরিয়ে এসেছে ইসরো। এবারের মিশন শততম। কৃত্রিম উপগ্রহ এনভিএস-২-কে নিয়ে জিএসএলভি এফ-১৫ রকেটের সফল উৎক্ষেপণে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বাসে ভাসছেন মহাকাশপ্রেমীরাও। এদিকে সদ্য ইসরোর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া ভি নারায়ণনের এটাই প্রথম মিশন।
Relive the moment! Here are stunning visuals from the GSLV-F15/NVS-02 launch.
A proud milestone for India’s space journey!
#GSLV #NAVIC #ISRO pic.twitter.com/RK4hXuBZNN
— ISRO (@isro) January 29, 2025
এর আগে লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টারের ডিরেক্টর পদে ছিলেন নারায়ণন। ১৯৮৪ সালে ইসরোতে যোগ দেওয়া এই বিজ্ঞানীর রকেট ও মহাকাশযান পরিচালনায় ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজন ক্রায়োটিক ইঞ্জিন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সেই ইঞ্জিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। রকেট এবং স্পেসক্রাফট প্রোপালশন বিশেষজ্ঞ তিনি। শুধু তাই নয়, ইসরোর গগনযান প্রজেক্টের সঙ্গেও যুক্ত নারায়ণন। ২০২৫ সালে ইসরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের পরিকল্পনা করেছে। রয়েছে গগনযানের মতো গগনচুম্বী প্রকল্পও। সেই সব গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের দায়িত্ব এবার উঠছে ভি নারায়ণনের কাঁধেই। যার সূচনা হল বুধবার।
কদিন আগেই আরেকটা সাফল্য পেয়েছিল ইসরো। মহাকাশে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ‘করমর্দন’ করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুটি স্যাটেলাইট। রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশে হিসাবে এই সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। যা মহাকাশ স্টেশনের তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। যা সাহায্য করবে চন্দ্রযান ৪ অভিযানের ক্ষেত্রেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.