গৌতম ব্রহ্ম: ক্ষেপনাস্ত্র বানাতে সিদ্ধহস্ত ইজরায়েল। এবার করোনা রুখতে ‘মোক্ষম অস্ত্র’ বানাচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় প্যাসিভ ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছে দি ইসরায়েল ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল রিসার্চ (IIBR)। পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচজন করোনা আক্রান্তের রক্তরস প্রয়োগও করা হয়েছে ইঁদুরের শরীরে। লক্ষ্য ইঁদুরের শরীরে তৈরি অ্যান্টিবডি করোনা মোকাবিলায় ব্যবহার। কিন্তু ইঁদুরের শরীরে তৈরি অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে প্রয়োগের ফল ইতিবাচক হবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তাও রয়েছে।
করোনার কাঁটায় বিধ্বস্ত বিশ্ব। ক্রমশ বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রতিটি দেশই মারণ ভাইরাসকে রুখতে ভ্যাকসিন তৈরি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অন্যান্যদেশের তুলনায় একটু অন্যভাবেই নোভেল করোনা ভাইরাসকে রোখার চেষ্টা করছে ইজরায়েল। প্যাসিভ ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন সেখানকার বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কী এই প্যাসিভ ভ্যাকসিন? চিকিৎসক নিশান্তঘটক দেব জানালেন, এই সংক্রমণ রুখতে দু’ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা যেতে পারে। অ্যাক্টিভ ও প্যাসিভ। দ্বিতীয় বিষয়টি হল, কোনও আক্রান্তের শরীর থেকে রক্তরস নিয়ে তা অন্যের শরীরে প্রয়োগ ও সেখানে উৎপন্ন অ্যান্টিবডি প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার। তবে অ্যক্টিভ ভ্যাকসিনই বেশি কার্যকর বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ভাইরোলজিস্ট সিদ্ধার্থ জোয়ারদার বলেন, “সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে এই প্যাসিভ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে ভাল ফল মিলবে। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে সাইটকাইন ঝড় ও তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেল সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুব একটা কাজ করার কথা নয়। তখন অ্যান্টি ইন্টার লিউকিন ৬ মনেক্লোনাল অ্যান্টিবডি (Siltuximab) কাজ করবে।” তবে সিদ্ধার্থবাবুর কথায়, করোনা রুখতে ইঁদুর ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, ইঁদুরের শরীরে তৈরি অ্যান্ডিবডি মানুষের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে। তাই তাঁর কথায়, এই প্যাসিভ ভ্যাকসিন ব্যবহারের আগে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.