Advertisement
Advertisement
Embryo

ডিম্বাণু-শুক্রাণু ছাড়াই তৈরি হল ভ্রূণ! চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন পথ দেখালেন ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা

মানুষের কৃত্রিম ভ্রূণ তৈরি করা কঠিন বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

Israeli researcher create world's first synthetic embryo without sperm | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 12, 2022 7:09 pm
  • Updated:August 12, 2022 7:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রাণু আর ডিম্বাণুর নিষেকে ভ্রূণ (Embryo) তৈরি হয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীর বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়ম এটাই। এভাবেই যুগের পর যুগ ধরে চলছে প্রাণের প্রবাহ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তো বিজ্ঞানও এগোচ্ছে। সে অগ্রগতি অবিশ্বাস্য। শুক্রাণু-ডিম্বাণু ছাড়াই ভ্রূণ তৈরি করে ফেললেন বিজ্ঞানীরা! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। কোনও নারী-পুরুষ, ডিম্বাণু-শুক্রাণুর মিলন, নিষেক – কোনও কিছু ছাড়া কৃত্রিমভাবে গবেষণাগারে তৈরি হল স্তন্যপায়ী ইঁদুরের (Mouse)ভ্রূণ। ইজরায়েলের (Israel) এক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই সিন্থেটিক ভ্রূণ তৈরি করেছেন। আর এতে নতুন প্রাণ বিস্তারের ক্ষেত্রে নতুন রাস্তা দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।

কিন্তু কীভাবে ডিম্বাণু-শুক্রাণু ছাড়া এই ভ্রূণের জন্ম হল? ইজরায়েলের উইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের বিজ্ঞানীদের এই কীর্তি ‘সেল’ (CELL) নামের বিখ্যাত সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হওয়ার পর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এটা ‘স্টেম সেলে’র কারসাজি। স্টেম সেল বা শাখা কোষ থেকেই কৃত্রিমভাবে ভ্রূণ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। উইজম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকিউলার জেনেটিক্স বিভাগের গবেষক দলের প্রধান জ্যাকব হানা বলছেন, “বিশেষ কোনও কোষ এভাবে তৈরি করা খুব কঠিন। বিশেষত একটা প্রক্রিয়া যখন চলমান, তখন তার বাইরে যাওয়া প্রতিকূলই হয়। তবে আমরা সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে স্টেম সেল থেকে সিন্থেটিক ভ্রূণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বাধীনতার মুহূর্তেও টুকরো টুকরো ছিল ভারত! অন্যরকম হতে পারত মানচিত্র, এই ইতিহাস জানেন?]

গবেষকরা প্রথমে স্টেম সেলকে তিন বিভাগে ভাগ করেন। প্রথমটি নিষেকের পথে কয়েকধাপ এগিয়ে থাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি ৪৮ ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা করার জন্য। এরপর একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ১০ হাজারের মধ্যে ০.৫ শতাংশ শুক্রাণু-ডিম্বাণু নিষেকের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপর তা ভ্রূণের আকার ধারণ করে। একটি ইঁদুরের ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, সাধারণত ইঁদুরে ভ্রূণ তৈরি হতে ২০ দিন সময় লাগে। কিন্তু গবেষণাগারে মাত্র সাড়ে আটদিনেই তা নিষিক্ত হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে নয়া জটিলতা, হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাল রাজ্য]

তবে কৃত্রিমভাবে এই ভ্রূণ তৈরি করা ইঁদুরের ক্ষেত্রে সম্ভব হলেও মানুষের সিন্থেটিক ভ্রূণ তৈরি কঠিন বলেই মনে করছেন গবেষকরা। তাঁরা এও স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন, ভ্রূণ তৈরি হওয়া মানেই নতুন প্রাণ জন্মানো নয়। তার জন্য রয়েছে একটি দীর্ঘ ও জটিল পথ। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক পদ্ধতি এড়িয়ে কৃত্রিমভাবে এই ভ্রূণ তৈরি কতটা নৈতিক, সেই প্রশ্নও উঠছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement