ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মস্তিষ্কের ক্যানসারের (Brain Cancer) চিকিৎসা-পদ্ধতিতে যুগান্তকারী দিশার খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীদের একটি দল। আর মার্কিন বিজ্ঞানীদের সেই দলের নেতৃত্বে এক ভারতীয় মহিলা (Indian scientist)! নাম সরিতা কৃষ্ণা। এঁরা সকলেই ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (California University) সান ফ্রান্সিসকো মেডিক্যাল সেন্টারের বিজ্ঞানী। ক্যানসার আক্রান্ত ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা নিয়ে তাঁদের এই আবিষ্কারের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স জার্নাল ‘নেচার’-এ।
কী জানা গিয়েছে গবেষণায় (Reserach)? কেরলের তিরুবনন্তপুরমের বাসিন্দা সরিতার নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটির দাবি, মস্তিষ্কের ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলি, সুস্থ কোষগুলির সঙ্গে জুড়ে গিয়ে ‘হাইপার-অ্যাক্টিভ’ তথা অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। তারপরই সুস্থ কোষগুলি প্রবল গতিতে নষ্ট হতে শুরু করে এবং রোগীরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান। অর্থাৎ ক্যানসার-আক্রান্ত কোষগুলির সুস্থ কোষগুলিকে ‘হাইজ্যাক’ করার প্রবণতা আছে। যার জেরে সুস্থ কোষগুলি অতি-সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তার ফলেই আবার কোষের নষ্ট হয়ে যাওয়ার হারও বেড়ে যায় বেড়ে।
শুধু তাই নয়, সরিতার নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটি আরও জানিয়েছে যে, তাঁরা এই গোটা প্রক্রিয়ায় ‘থ্রমবোস্পন্ডিন-১’ নামে একটি প্রোটিনের ভূমিকার কথাও জেনেছেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘গাবাপেনটিন’ নামে বহুল পরিচিত একটি ওষুধের (Medicine) যথাযথ প্রয়োগ, মস্তিষ্কের ক্যানসার কোষগুলির সুস্থ কোষগুলিকে ‘হাইজ্যাক’ করার প্রক্রিয়াকে শ্লথ করতে পারে। এই আবিষ্কারের জেরে পরবর্তীতে ‘গ্লিওব্লাস্টোমা’ নামে প্রাণঘাতী এক রোগের চিকিৎসাও সহজ হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যে সমস্ত রোগীরা ম্যালিগন্যান্ট গ্লিওমায় আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ উপকারী হতে পারে। একইসঙ্গে পরবর্তীকালে এই আবিষ্কারকে পাথেয় করে নতুন ওষুধপত্র, নিউরো-মডিউলেশন টেকনিকও তৈরি করা যেতে পারে বলেই দাবি করেছেন গবেষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.