সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ভেসে এল রহস্যজনক রেডিও তরঙ্গ। শুনতে সিনেমার মতো লাগলেও এবার বাস্তবে এমনটাই ঘটল। সৌজন্যে এক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক। চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর ভারতীয় বৈজ্ঞানিক ড: বিশাল গজ্জরের দাবি, একটি বামন ছায়াপথ থেকে ভেসে এসেছে রেডিও তরঙ্গ।
১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ছিল, পৃথিবী ছাড়াও মহাকাশে অন্য কোনও গ্রহে প্রাণ রয়েছে কি না, সেটা স্পষ্টভাবে জানা। আর এবার সেই প্রকল্পই সাফল্যের মুখ দেখল। ৩০ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরের একটি বামন ছায়াপথ থেকে ভেসে আসা ১৫ বারেরও বেশি রেডিও তরঙ্গ রেকর্ড করতে সক্ষম হলেই এক ভারতীয় বৈজ্ঞানিক। মনে করা হচ্ছে, মহাকাশ যানে যে এনার্জি সোর্স ব্যবহার করা হয়, সম্ভবত সেরকমই কোনও এনার্জি ব্যবহার করছিল পৃথিবী থেকে বহু দূরের ওই বামন ছায়াপথের বাসিন্দারা।
Alien-hunting Breakthrough Listen project tracks strange series of 15 radio bursts: https://t.co/nWQVA0QVc8 HT @brkthroughprize @SethShostak pic.twitter.com/10ytTuG1fn
— Alan Boyle (@b0yle) August 30, 2017
বুধবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছেন ‘ব্রেক থ্রু লিসেন’ প্রকল্পের কর্তারা। তাঁরা বলছেন, ‘বহু বছর আগে ওই ১৫টি রেডিও বার্তা পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় আমাদের সৌরজগতের বয়স ২ বিলিয়ন বছর ছিল। পৃথিবীতে তখন এককোশি প্রাণির অস্তিত্ব ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তারও কয়েক বিলিয়ন বছর পর এক থেকে বহুকোশি প্রাণীর বিবর্তন ঘটে।’ এরকম প্রথম রেডিও বার্তাটি প্রথম গৃহীত হয় অস্ট্রেলিয়ায়।
পৃথিবী ছাড়াও মহাকাশের অন্য কোনও গ্রহ থেকে ভেসে আসা বার্তা গ্রহণ করতে ২০১৫-য় পথ চলা শুরু হয় ‘ব্রেক থ্রু লিসেন’ প্রকল্পের। স্টিফেন হকিং ও ইউরি মিলনারের সহায়তায় ও একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে সূচনা হয় এই মেগা প্রজেক্টরের। সেই প্রকল্পেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী বিশাল গজ্জার। আর তাঁর হাত ধরেই আজ ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পৃথিবী। তবে কি সত্যি কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো অন্য কোনও গ্রহে জীবন্ত প্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে? আপাতত সময়ই এর উত্তর দেবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.