প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহুদিন পর্যন্ত মানুষের ধারণা ছিল মানুষ নশ্বর হলেও আকাশের গায়ে জ্বলতে থাকা নক্ষত্ররা চিরজীবী। কিন্তু তা নয়। তারারও মৃত্যু আছে। আর সেই তারা যদি সূর্যের চেয়ে অন্তত ৫ গুণ বড় হয়, তাহলে তার মৃত্যুর সময় যে বিস্ফোরণ হয় তা সুদূর মহাকাশের কোণে ঘটলেও অন্ধকার আকাশে তার ছাপ রেখে যায়। ওই উজ্জ্বল আলোর বিন্দুকেই বলা হয় সুপারনোভা। এবার তেমনই এক বিস্ফোরণের সাক্ষী হলেন ভারতের শখের মহাকাশ গবেষকরা। ‘লিকুইড প্রপালশান সিস্টেমস সেন্টার’ নামের সংগঠনের হয়ে কাজ করেন ওই বিজ্ঞানীরা।
ইসরো (ISRO) থেকে ওই বিজ্ঞানীরা সুপারনোভা (Supernova) দেখতে পেয়েছেন। পিনহুইল গ্যালাক্সি তথা এম১০১ নামের এক ছায়াপথে দেখা গিয়েছে নক্ষত্রের বিস্ফোরণের উজ্জ্বল আগুনে বিন্দুকে। গত ১৯ মে ও ২২ মে দু’টি শিখায় জ্বলতে দেখেছেন ওই নক্ষত্রটিকে। এই বিস্ফোরণকে ‘টাইপ ২’ সুপারনোভা হিসেবে ধরা হচ্ছে। সাধারণ ভাবে সূর্যের চেয়ে আট গুণ বড় তারার বিস্ফোরণকে এই গোত্রের ধরা হয়।
নক্ষত্রের মধ্যে অবিরত বিস্ফোরণ হয়েই চলে। চলতে চলতে তার সেই অসীম শক্তির ভাণ্ডারেও একসময় টান পড়ে। ক্রমে জ্বালানির অভাবে একসময় নক্ষত্রটি প্রকাণ্ড বিস্ফোরণ ঘটায়। তখনই সৃষ্টি হয় সুপারনোভার। এমন এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত ওই বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকেও। ইসরোর তরফে পেশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়েও যে এমন বাজিমাত করা যায় মূলত উৎসাহ, নিষ্ঠা ও উদ্ভাবনী দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, তা প্রমাণ করলেন ওই বিজ্ঞানীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.