সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় (Coronavirus) মৃত্যু কমাতে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের পথে ভারতীয় বংশোদ্ভূত গবেষক ও চিকিৎসক থিরুমালা দেবী কান্নেগান্তি। করোনার প্রকোপে ফুসফুসের (Lungs) চরম ক্ষতি, অঙ্গ বিকল ও প্রদাহজনিত কারণে মৃত্যু হয়। কেন এই জটিলতা তার সঠিক কারণ খুঁজে বের করেছেন এই গবেষক।
‘সেল’ বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ওই গবেষণাপত্র। টেনেসির সেন্ট জুড চিলড্রেন রিসার্চ হাসপাতালে তিনি ওই গবেষণা চালিয়েছেন। থিরুমালা দেবী তাঁর গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কার করেছেন, করোনার ফলে হওয়া মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরের পিছনে রয়েছে কোষের অত্যধিক প্রদাহ (Inflammatory cell)। তাঁর দাবি, এই অতিরিক্ত প্রদাহ যদি রোখা যায়, তাহলে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হওয়া আটকানো সম্ভব হবে। এর জন্য বিশেষ থেরাপি আনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, সংক্রমণ ধরা পড়লে দ্রুত প্রদাহ কমাতে হবে। তাহলে আর শরীরের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সাইটোকাইনও চিহ্নিত করতে পেরেছেন তিনি যার ক্ষরণে প্রদাহের পরিমাণ বাড়ে করোনা রোগীর শরীরে। এবিষয়েও বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে গবেষণাপত্রে। ওই ক্ষরণের গতি কমাতে পারলেও করোনায় মৃত্যুভয় কমবে বলে জানান তিনি।
তেলেঙ্গানায় জন্ম এই চিকিৎসকের। রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক হওয়ার পর তিনি ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি করেন। পরে পিএইচডিও করেন। এরপর ২০০৭ সালে টেনেসির সেন্ট জুড চিলড্রেন রিসার্চ হাসপাতালে যোগ দেন তিনি। এই গবেষণায় তাঁর সঙ্গে আরও যাঁরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যেও রয়েছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত।
এদিকে দিন কয়েক আগে পর্যন্ত দেশে সার্বিকভাবে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু এবার দিল্লি, গুজরাট, রাজস্থানে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। যা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার ফলেই ভারতে লাগাতার দৈনিক ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ এই মারণ রোগের কবলে পড়ছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.