সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার মতো মারণ ভাইরাসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনীতি-সহ সাধারণের জনজীবন। তবে করোনা বিশ্বে তার মারাত্মক প্রভাব ফেললেও এই ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন পরিস্থিতি। ফলে জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাস্তায় মিলছে না অতিরিক্ত কিছু। আর তাতেই কমেছে দূষণের মাত্রা। দেশের ৯০টি শহরে দূষণের মাত্রা কমে রেকর্ড গড়েছে। এই সচেতনতাকেই পরিবেশবিদরা সতর্কবার্তা হিসেবে দেখার পরামর্শ দেন।
যা তাবড় বিজ্ঞানীরা করতে পারলেন না, তা করে দেখাল মারণ ভাইরাস করোনা। সচেতনতার প্রচার, সরকারি পদক্ষেপ সবকিছুকে হেলায় হারিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় মানুষকে গৃহবন্দি করেছে। লকডাউন জারি হয়েছে দেশজুড়ে। বন্ধ হয়েছে রাস্তায় গাড়ির ঢল। গাড়ি তো দূরঅস্ত, বাড়ির বাইরে এক পা বেরনোর আগেও দুবার ভাবছেন সকলে। ১৩০ কোটি দেশবাসী আপাতত ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। অফিস যাওয়ার তাড়া নেই, নেই সঠিক সময়ে লড়াই করে বাসে যাওয়ার চিন্তা। সময় বাঁচাতে ব্যবহার করে অ্যাপ ক্যাব চালকেরাও দিব্য ছুটি কাটাচ্ছেন দেশজোড়া লকডাউন পরিস্থিতিতে।
ফলে রাস্তায় এই সময় জরুরি পরিষেবার গাড়ি ছাড়া দেখা মিলছে না অতিরিক্ত কোনও কিছুরই। তাই দূষণের মাত্রা মাত্র কয়েকদিনেই কমে রেকর্ড গড়েছে দেশে। সফর-এর(SAFAR) মতে, দিল্লিতে দূষণের মাত্রা কমে ২.৫ হয়েছে, আহমেদাবাদ ও পুণেতে ১৫ শতাংশ দূষণের মাত্রা কমে গিয়েছে। সফরের বিজ্ঞানী গুরফান বেগ জানান, “বায়ু সূচকে দূষণের মাত্রা কমে সন্তোষজনক ‘পরিস্থিতিতে’ রয়েছে। লকডাউন জারি হওয়ায় রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সমস্ত কারাখানাগুলি। অন্যদিকে মৌসুমী বায়ুর খামখেয়ালিপনায় মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্যগুলিতে ফলে কমছে দূষণের তীব্রতা।” তাই লকডাউনের জেরে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ কমায় বাড়ি বসে শহর ও শহরতলির মানুষেরা পরিশুদ্ধ শ্বাস নিতে পারবেন বলেই মত পরিবেশবিদদের।
এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীর কথায়, “লকডাউন জারি করে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করা ও দূষণ রোধ করা মোটেই সঠিক পথ নয়। তবে এটাও মনে রাখা প্রয়োজন দেশের প্রতিটি মানুষ যদি সচেতন হন ও নিজেদের স্বার্থেই যদি পরিবেশকে বাঁচাতে চান তাহলে হয়তো দূষণ রোধ করা সত্যিই সম্ভব হবে। আর তাতে দেশের অর্থনীতিকে মোটেই ধাক্কা খেতে হবে না।” ইতিমধ্যেই এই লকডাউন পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। ৩ বিদেশি নাগরিক-সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.