সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধরাধামে বসতি গড়ে মানুষ বেশ খুশি। শস্য-শ্যামলা ধরিত্রীর স্থলভাগের সম্পূর্ণ অংশকে বাসযোগ্য করে তুলতে বদ্ধপরিকর মানুষ। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের চেয়ে উন্নততর প্রাণীর অস্তিত্ব যদি থেকে থাকে, তাহলে তাদের পছন্দের বাসস্থান হবে মঙ্গল (Mars)। পৃথিবীর পড়শি গ্রহে জলের সন্ধান পেলেই বাসস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে। এই সংক্রান্ত গবেষণায় কাজ করতে করতে সম্প্রতি অন্য একটি সূত্র হাতে এসেছে বিজ্ঞানীদের। তা আরও বিস্ময় উদ্রেগকারী। বলা হচ্ছে, জলময় (Water) লালগ্রহ আচমকা শুকিয়ে খটখটে হয়ে যাওয়ার পিছনে অন্য কারণ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গল কি আদৌ মানুষের বাসযোগ্য? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মঙ্গলের মাটিতে ঘোরাফেরা করে বেড়াচ্ছে নাসার (NASA) মঙ্গলযান ‘কিউরিওসিটি’। রোভার ‘পার্সিভিয়ারেন্স’-এর উচ্চপ্রযুক্তির লেন্স আর সঙ্গে থাকা ছোট্ট ল্যাবরেটরিতে মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা চলছে। লালগ্রহের মেরুপ্রদেশ, নিরক্ষীয় অঞ্চলের আবহাওয়া কেমন, তা পরখ করে দেখছে নাসার যান। কিউরিওসিটির চোখে ধরা পড়েছে, মঙ্গলে নদীর অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু অনেক আগেই তা শুকিয়ে গিয়েছে। এখন শুধু খা খা করছে নদীখাত। আর এখানেই প্রশ্ন। কীভাবে শুকিয়ে গিয়েছে নদী? এই প্রশ্নের উত্তরও পেতে নিরন্তর কাজ করে চলছে নাসার মঙ্গলযানটি।
প্রাথমিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা মনে করছিলেন, মহাবিস্ফোরণের (Explosion) জেরে তৈরি হওয়া প্রবল তাপে নদী শুকিয়ে গিয়েছে। এবার নদী শুষ্ক হওয়ার পিছনে আরেকটি তত্ত্ব খুঁজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলের আকাশে খুব পাতলা, তুষারের মেঘ তৈরি হয়েছিল। সেখানে প্রচুর গ্রিনহাউস গ্যাস (Greenhouse gas) জমছিল। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের প্রভাবে লালগ্রহ থেকে জল শুকিয়ে গিয়েছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Chicago) বিজ্ঞানী এডুইন কাইট বলছেন, “মঙ্গল নিয়ে নানা মানুষের নানা ধারণা রয়েছে। কিন্তু আমরা কেউ জানি না যে কীভাবে এই গ্রহের আবহাওয়ায় এতটা বদলে গেল। তবে একটা বিষয় আমরা জানি, এখানে বাসযোগ্য পরিবেশ থেকে আমূল পরিবর্তন হয়েছে।’’ এই ব্যাখ্যাও উঠছে যে মঙ্গলের আবহাওয়ায় তৈরি হচ্ছিল হাইড্রোজেন গ্যাস। তা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে বাষ্প অনেক বেশি তৈরি হয়েছে। সেটাই নদীকে শুষ্ক করার পক্ষে যথেষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.