সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ২০ বছরের মধ্যেই মঙ্গলে পা রাখবে মানুষ। এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ব্রিটিশ মহাকাশচারী টিম পিক। তাঁর মতে মানুষের মঙ্গল জয় সম্ভব হবে এলন মাস্কের মত উদ্যোগপতিদের মহাকাশের বানিজ্যিকরণের প্রচেষ্টায়। তিনি আরও বলেন মাস্কের ‘ফ্যালকন হেভি’ রকেট মহাকাশ অভিযানে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
২০১৬ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন’-এর অভিযান সম্পূর্ণ করেন মেজর পিক। তিনি জানান, সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলির হিসেবে ২০৩০-এর মধ্যে লালগ্রহে পৌঁছবে মানুষ। তবে এলন মাস্কের ‘SpaceX’ সংস্থার মতো শিল্পপতিদের নিজস্ব উদ্যোগে এই কাজ আরও দ্রুত সম্ভব হতে পারে।
[মঙ্গল কি ছিল যুদ্ধক্ষেত্র? ‘কামানের গোলা’র সন্ধান পেয়ে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা]
উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিকেই কেনেডি স্পেস সেন্টার, লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯ থেকে লালগ্রহের উদ্দেশে ডানা মেলল বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী রকেট ‘ফ্যালকন হেভি’। অত্যাধুনিক এই রকেটটি বানিয়েছে মার্কিন গবেষক তথা শিল্পপতি এওন মাস্ক-এর সংস্থা SpaceX। প্রায় ১৮ টি ‘৭৪৭ জেট’ বিমানের সমান ক্ষমতা রয়েছে এই রকেটের। সংস্থাটির দাবি, এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী কার্যক্ষম রকেট হচ্ছে ‘ফ্যালকন হেভি’। এতে রয়েছে ২৭টি ইঞ্জিন ও ৩টি বুস্টার।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে মহাকাশের গভীরে কোনও বস্তু পাঠানোর ক্ষেত্রে এটিই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগ। ‘পে-লোড’ হিসেবে নিজের একটি গাড়ি ও প্রতিমূর্তি রকেটটিতে পাঠান এলন মাস্ক। তিনি জানান, মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে স্থাপন করা হবে এই পে-লোড। পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার পাউন্ড ও মঙ্গলের কক্ষপথে প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড পে-লোড পৌঁছে দিতে সক্ষম এটি। ভবিষ্যতে মার্কিন সামরিক স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করতে কাজে লাগানো হতে পারে এই রকেটটিকে। শুধু তাই নয় মহাকাশচারীদের অভিযানে পাঠানোর জন্যও ফ্যালকন ব্যবহার করতে পারে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
[২০১৮-তে মঙ্গলে পাড়ি দিতে চলেছেন ১ লক্ষ ভারতীয়!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.