সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যু উপত্যকা (Death Valley) । পৃথিবীর অন্যতম উত্তপ্ত জায়গা বলে পরিচিত। সেখানেই এ বছর রেকর্ড করা হল সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা – ১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাৎ ৫৪.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। ১৯৩১ সালের পর নাকি কখনও পৃথিবীর কোনও উষ্ণতম অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ এতটা চড়েনি। গত সপ্তাহান্তে এই উষ্ণতা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাপপ্রবাহের জেরে এবারের গ্রীষ্মে এই পরিস্থিতি বলে মত আবহাওয়াবিদদের। এই পরিবেশ সেখানকার কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Looking ahead to later this week and next weekend, dangerous heat is forecast to remain locked in across the southwestern United States. Meanwhile, comfortable high temperatures in the 70s and 80s will be found from the Midwest to Northeast. Autumn is only 36 days away! pic.twitter.com/y0OYASQAsX
— NWS WPC (@NWSWPC) August 16, 2020
কত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহে পুড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল। যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ক্যালিফোর্নিয়ার এই ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক। দুটি মরু অঞ্চলের মাঝে অবস্থিত ডেথ ভ্যালি পৃথিবীর অন্যতম উষ্ণ স্থান বলে পরিচিত। গত সপ্তাহান্তে এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড ছুঁয়েছে বলে জানাচ্ছে মার্কিন ন্যশনাল ওয়েদার সার্ভিসের পরিসংখ্যান।
এর আগে ২০১৩ সালে এখানে তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৫৪ ডিগ্রি। এবার তার চেয়ে দশমিক ৪ ডিগ্রি বেশি। গত শনি ও রবিবার এই এলাকা নাকি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে ছিল। এর কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, এই মারাত্মক উষ্ণতা এবং তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে যেভাবে মানুষজন বিদ্যুতের ব্যবহার করেছেন, তাতে পাওয়ার গ্রিডের উপর চাপ পড়ায় তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাস্তার পিচ নাকি গলে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল।
আবহাওয়া বিজ্ঞানের ইতিহাস বলছে, এর আগে উত্তর আফ্রিকার তিউনিশিয়ায় (Tunisia) তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ৫৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সেটা ১৯৩১ সালে। কিন্তু তারপর এত বেশি উষ্ণতা পৃথিবীর কোনও উষ্ণতম অঞ্চলের থার্মোমিটারেই ধরা পড়েনি। কিন্তু এ বছরটা অন্যরকম। মহামারী আবহে উষ্ণায়নে কোনও বিরাম নেই। পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। আর তা যেন আছড়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার এই ডেথ ভ্যালিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর তাপপ্রবাহ এবং উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাব বহুমুখী। চামড়া পুড়িয়ে দেওয়ার মতো উষ্ণতায় মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক বেশি। এছাড়া কৃষিকাজে ব্যাপক ক্ষতি। হয় জমিতেই ফসল শুকিয়ে মরে যাবে, নয়ত গাছে গাছে রোগ বাড়বে। সবমিলিয়ে, খাদ্য সংকটের প্রবল আশঙ্কা। এসব শুনে অনেকেরই প্রশ্ন, আর কত সংকট পেরতে হবে? পৃথিবীর শেষের সেদিন কি তবে সমাগত এভাবেই?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.