সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিং ছিল ডাইনোসরের (Dinosaur)! ইংল্যান্ডের (UK) এক দ্বীপ থেকে এবার উদ্ধার হল এমনই দুই ডাইনোসরের প্রজাতির ফসিলস। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এরা প্রায় ১২ কোটি ২৭ লক্ষ বছর আগে দাপিয়ে বেড়াত পৃথিবীতে। ‘সায়েন্টেফিক রিপোর্টস’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের ‘আইল অফ উইট’ দ্বীপ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু একসময় এটাই ছিল ডাইনসোরদের মুক্তাঞ্চল। একে তাই প্রত্নতত্ত্ববিদরা ব্রিটেনের ‘ডাইনোসর-রাজধানী’ বলা হয়। এবার সেখানেই সন্ধান মিলল ওই দুই নয়া প্রজাতির ডাইনোসরের। মাংসাশী ওই দুই প্রজাতির ডাইনোসরেরই মুখ কুমিরের মতো। মাথায় ছিল শিংয়ের মতো উঁচু অংশ। মনে করা হচ্ছে, জলে ও ডাঙায় সর্বত্রই শিকার খোঁজায় পারদর্শী ছিল এই ডাইনোসররা।
স্পাইনোসরাইডস প্রজাতির ওই ফসিল সংগ্রাহকদের সঙ্গে মিলে ডাইনোসর মিউজিয়ামের এক বিশেষজ্ঞ দল ওই দুই প্রজাতির ডাইনোসরের খুলি খুঁজে পেয়েছেন সৈকতে। শিগগিরি মিউজিয়ামে দৃশ্যমান হবে ফসিল দু’টি। ফসিল বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান ফস্টার রীতিমতো উচ্ছ্বসিত এমন আবিষ্কারে। তাঁর কথায়, ”আমার ৩০ বছরের কেরিয়ারে এটাই সবচেয়ে উত্তেজক ও বিরল অভিজ্ঞতা।”
এই দুই নতুন ধরনের স্পাইনোসরাইডসের একটির নাম সেরাটোসুচপস ইনফেরোডিওস। দ্বিতীয়টির নাম রাইপারোভেনাটর মিলনেরি। এই দুই ক্রিটেসিয়াস যুগের প্রতিনিধির উচ্চতা ছিল ২৯.৫ ফুট। এদের খুলির উচ্চতাই ছিল ৩.২ ফুট। মনে করা হচ্ছে অল্পবয়সি কুমির ও ছোট কচ্ছপের মতোই এই দুই কুমিরমুখো ডাইনোসরও জলে সাঁতার দিতে ও শিকার ধরতে বিশেষ পটু ছিল।
এতদিন পর্যন্ত ব্রিটেনে স্পাইনোসরাইডস প্রজাতির কেবল একটি ডাইনোসরের ফসিলই উদ্ধার হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডের সারেতে সেটি পাওয়া গিয়েছিল। এই প্রজাতির সবচেয়ে বড় ডাইনোসর হল স্পাইনোসরাস। ১৯১৫ সালে উত্তর আমেরিকায় সেটি উদ্ধার হয়েছিল। ‘জুরাসিক পার্ক ৩’ সিনেমার দৌলতে যাকে এখন চেনে সারা বিশ্বের ডাইনোপ্রেমীরা। এবার সেই প্রজাতিরই নয়া ডাইনোসরের সন্ধান মিলল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.