সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের র্যাপার মোড়া কাশ্মীর থেকে অনেক আগেই উবে গিয়েছে বরফের চাদর। সূর্যের প্রখর তাপে ঘেমে নেয়ে নাজেহাল দশা ভূস্বর্গবাসীর। রিপোর্ট বলছে, উত্তর ভারতের বাকি রাজ্যগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গত ১১ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। শুক্রবার জম্মুর সর্বোচ্চ তাপমাত্র পৌঁছে গিয়েছে ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পিছিয়ে নেই শ্রীনগরও, সেখানে তাপমাত্রা ৩২.২ ডিগ্রি।
আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রচণ্ড গরমের জেরে বর্তমানে লু বইছে হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে। শুক্রবার দিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রিপোর্ট বলছে, বাকি রাজ্যগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পায়নি চির চেনা বরফে মোড়া শুভ্র কাশ্মীর (Kashmir)। রোদের তেজে বরফ মুছে গিয়েছে আগেই। বর্তমানে সেখানে কার্যত লু বইতে শুরু করেছে। উপত্যকার তাপমাত্রা যে ব্যাপকভাবে বাড়তে বাড়ে সে আভাস আগেই দিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, কাজিগুন্ডে তাপমাত্রা ৩২.৬ ডিগ্রি, পহেলগাঁও ও কূপওয়াড়ায় তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৭.৩ ও ৩০.৬ ডিগ্রি। তবে সবাইকে ছাপিয়ে জম্মুর তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪০.১ ডিগ্রিতে। আবহাওয়াবিদদের কাছে যা রীতিমত উদ্বেগের বিষয়।
অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরের অতীত বলছে এর চেয়েও বেশি তাপপ্রবাহ আগেও দেখেছে উপত্যকা। এখনও পর্যন্ত শ্রীনগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১১ সালে শ্রীনগরের তাপমাত্রা ছিল ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারও আগে ২০০৭ সালে তাপমাত্রা ছিল ৩২.৪ ডিগ্রি। ২০০১ ও ২০০০ সালে এখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩৪.২ ডিগ্রি ও ৩৩.৮ ডিগ্রি। ১৯৯৫ সালে সেখানে উষ্ণতার পারদ ছুঁয়েছিল ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্তমানে সেখানকার যা পরিস্থিতি তাতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.