সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদ ও মঙ্গল-সহ ইসরোর নজরে এবার শুক্র। সকাল-সন্ধ্যা পৃথিবীর আকাশে উঁকি দেওয়া এই সন্ধ্যাতারা বা শুকতারার রহস্য সন্ধানে ইসরোকে অভিযান চালানোর অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। মহাকাশ গবেষণার পথে ইসরোর এই অভিযান বড় সড় চমক হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কেন্দ্রের অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই অভিযানের প্রস্তুতি।
এই অভিযান প্রসঙ্গে ইসরোর ডিরেক্টর নীলেশ দেসাই বলেন, শুক্র গ্রহের কক্ষপথে পরিভ্রমণ করতে ইসরোর তরফে শুক্রযান নামের এক অভিযান চালানো হবে। ২০২৮ সালে পৃথিবীর প্রতিবেশী এই গ্রহের উদ্দেশে রওনা দেবে শুক্রযান। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই ভেনাস অরবিট মিশনের মাধ্যমে ‘শুক্রযান-১’কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের লক্ষ্য হবে শুক্র গ্রহের খুঁটিনাটি পরীক্ষা ও সেখান থেকে যতটা সম্ভব তথ্য তুলে আনা।
এমনিতে শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর যমজ গ্রহ হিসেবে দেখেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর মতো পৃথিবীর মতো পরিস্থিতিতেই তৈরি হয়েছিল এই গ্রহ। তারপর কীভাবে পৃথিবীর থেকে ভিন্ন রূপ নিল গ্রহটি তা জানাই হবে এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করবেন এই গ্রহের বায়ুমন্ডল সম্পর্কে। পাশাপাশি জানা যাবে সে শুক্র একটা সময়ে মানুষের বাসযোগ্য বলে মনে করা হত তা কীভাবে এতখানি প্রতিকূল হয়ে উঠল।
তবে শুধু শুক্র নয়, মহাকাশে একেবারে সাজানো সিডিউল রয়েছে ইসরোর। চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের পর চন্দ্রযান-৩ এর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই অভিযানের লক্ষ্য শুধু চাঁদের মাটিতে পা রাখা নয়, বরং সেখান থেকে মাটি, পাথরের নমুনা পৃথিবীতে বয়ে আনা। ভারত জাপানের সঙ্গে মিলে এই অভিযান চালাবে। এখানে রোভারের ওজন হবে ৩৫০ কিলো। অর্থাৎ আগের রোভারের চেয়ে ১২ গুণ বেশি ওজনের।
এছাড়া মঙ্গল গ্রহে আরও একটি অভিযান চালাবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই অভিযানে শুধু মঙ্গলের কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠানো নয়, মঙ্গলের মাটিতে পা রাখার চেষ্টা চলবে। পাশাপাশি আগামী দু বছরের মধ্যে গগনযান ও লঞ্চ করা হবে। যার মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পাশাপাশি সেখানে ভারতের নিজস্ব স্টেশন তৈরি করা হবে। মঙ্গলের মাটিতে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য রয়েছে ইসরোর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.