Advertisement
Advertisement

সংশোধনাগারের মহিলা আবাসিকদের জন্য নয়া উদ্যোগ, শেখানো হবে রাখি-ব্যাগ তৈরি

এই প্রথম মহকুমাস্তর অর্থাৎ সাব-সংশোধনাধারে মহিলাদের জন্য এমন উদ্যোগ।

Government take steps to teach hand crafting in Kalna sub correctional home
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 9, 2020 4:35 pm
  • Updated:March 9, 2020 4:54 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সংশোধনাগারের মহিলা আবাসিকদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে উদ্যোগ নিল কারা দপ্তর ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। প্রশিক্ষণ দিয়ে বন্দিদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতদিন মূলত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এই ব্যবস্থা কার্যকর হলেও এবার থেকে সাব-জেল বা মহকুমাস্তরের সংশোধনাগারেও তা করা হবে। অতি শীঘ্রই কালনা মহকুমা সংশোধনাগারে মহিলা আবাসিকদের রাখি তৈরি ও কাগজের ব্যাগ তৈরির প্রশিক্ষণ শুরু করা চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কালনা মহকুমা শাসক সুমন সৌরভ মোহান্তি, কারা দপ্তরের ডিআইজি-সহ পদস্থ আধিকারিক সংশোধনাগার পরিদর্শন করে প্রশিক্ষণের জায়গা চিহ্নিত করেছেন।

স্বপনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংশোধনাগারের মহিলা আবাসিকদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।” সম্প্রতি দমদমের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ১০টি তাঁত যন্ত্র বসানো হয়েছে। সেখানকার মহিলা আবাসিকদের রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা তন্তুজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। দমদমের পর কয়েকদিন আগে কৃষ্ণনগর সংশোধনাগারে ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮টি পাওয়ারলুম বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, কারা দপ্তরের ডিজি অরুণ গুপ্তর উপস্থিতিতে সেই কাজের সূচনা করা হয়েছে। সেখানে স্বপনবাবু কালনা সংশোধনাগারে মহিলা আবাসিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেন। কারা মন্ত্রী তাতে সম্মতি দেওয়ায় এই পদক্ষেপ।

Advertisement

Swapan-Debnath-2

[আরও পড়ুন: দোলের সকালে জনসংযোগ, কচিকাঁচাদের হাতে আবির মাখলেন দিলীপ ঘোষ]

মূলত বিচারাধীন বন্দিরাই কালনা সংশোধনাগারের বাসিন্দা থাকেন। কেউ ৬ মাস, কেউ বা ১ বছর পর্যন্ত থাকেন। এরপর সমাজের মূলস্রোতে ফিরে যাতে তাঁরা সমস্যায় না পড়েন সেই কারণেই প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টা। স্বপনবাবু জানান, মহিলা আবাসিকরা যে ওয়ার্ডে থাকেন সেখানে স্টোররুম সংলগ্ন একটি বড় বারান্দা রয়েছে। সেই জায়গাটিকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বুধবার কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ও কারা দপ্তরের ডিজি অরুণবাবুর সঙ্গে বৈঠকে বাকি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। কালনা মহকুমা রাখি শিল্পের জন্য ইতিমধ্যেই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। ভিনরাজ্যেও যায় সেখানকার রাখি। তাই সংশোধনাগারে রাখি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ বান্ধব কাগজের ব্যাগ তৈরিও শেখানো হবে। এতে বন্দিদের ভবিষ্যত সুন্দর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement